সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একবুক আবেগের নাম দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা। সবাই তো বল নিয়ে ছোটেন। আবহমান কাল ধরে ছুটে আসছেন। তিনি বলকে কথা বলাতেন। বলের সঙ্গে সন্ধি করতেন। তাঁর কথায় বল মেলে দিত ডানা। গ্যালারি গান ধরত, ‘মারাদোনা-মারোদানা’।
আজ দিয়েগোর জন্মদিন। বেঁচে থাকলে জাদুকরের বয়স আজ হতো ৬৩। বিশ্বজুড়ে দিয়েগো স্মরণ হচ্ছে। অসময়ে চলে গেলেও মারাদোনাকে কেউ ভোলেননি। ভোলা যায় না। কোনওদিন ভোলাও সম্ভব নয়।
আর্জেন্টাইন মহানায়ককে ভোলেননি ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতও। ইনস্টাগ্রামে বিখ্যাত ১০ নম্বর জার্সিধারীকে স্মরণ করে কুয়াদ্রাত লিখেছেন, ”তখন আমার ১৩-১৪ বছর বয়স হবে। মারাদোনা বার্সেলোনায় খেলত, আমি তখন ন্যু ক্যাম্পে বল বয় ছিলাম। খুব সামনে থেকে দিয়েগো মারাদোনাকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল।”
বার্সার জার্সি পরে মারাদোনা ঢুকে পড়েছেন প্রতিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে। পিছনে পড়ে থাকা প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার মরিয়া হয়ে দৌড়চ্ছেন। সামনে তটস্থ গোলকিপার। মাঠের বাইরে হাঁটু মুড়ে বসে রয়েছেন কুয়াদ্রাত। সেই ছবি ইস্টবেঙ্গল কোচ পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে। কুয়াদ্রাত লিখেছেন, ”মারাদোনাকে ন্যু ক্যাম্পের ঘাসে খেলতে দেখে আমি বড় হয়েছি। তিন মিটার দূর থেকে বসে মারাদোনার জাদু দেখেছি।”
View this post on Instagram
দুমরশুম বার্সার জার্সিতে খেলেছিলেন মারাদোনা। কুয়াদ্রাত বলছেন, ”বল পায়ে মারাদোনা জাদুকর। বল যেখানে পাঠাতে মন চাইত, ওঁর বাঁ পা তাই করতো। মারাদোনাকে দেখে দুই প্রজন্ম ফুটবল খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন দেখত। মাঠে খেলতে যখন নামতো মারাদোনা, অভূতপূর্ব কিছু ঘটনা ঘটত। ১৯৮৬-র বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এবং বের্নাবুতে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে গোল দুটো সময় পেলে দেখবেন। সত্যিকারের একজন জিনিয়াস চলে গিয়েছে। রেস্ট ইন পিস দিয়েগো।”
বিনম্র শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে ফুটে উঠছে ফুটবল-ঈশ্বরের প্রতি ইস্টবেঙ্গল কোচের সমীহ, শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.