Advertisement
Advertisement
Kalinga Super Cup

রিজার্ভ বেঞ্চ দিয়েই কিস্তিমাত কোচ কুয়াদ্রাতের, বলছেন মনোরঞ্জন 

ইস্টবেঙ্গলের এই জয়ে আরও একটা ফ্যাক্টর ক্লেটন, বলছেন মনোরঞ্জন।

East Bengal coach Carles Cuadrat did the masterstroke by the help of reserve bench in Kalinga Super Cup, says Monoranjan Bhattacharya । Sangbad Pratidin

কার্লেস কুয়াদ্রাত। ফাইল চিত্র

Published by: Krishanu Mazumder
  • Posted:January 20, 2024 9:32 am
  • Updated:January 20, 2024 4:41 pm  

মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য: শুক্রবার সন্ধ্যায় ইস্টবেঙ্গলের জয়টা আমার কাছে একেবারেই অপ্রত্যাশিত নয়। আমি আগেই বলেছিলাম, সুপার কাপের (Kalinga Super Cup) ডার্বিতে মোহনবাগান কিছুটা পিছিয়ে নামবে।
শেষ কয়েকটা বছর ডার্বিতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল মোহনবাগান। আর সেই ছবিটা বদলে গিয়েছে কার্লেস কুয়াদ্রাত আসার পর। দারুণভাবে দলটা গুছিয়ে নিয়েছে স্প্যানিশ কোচ। শুধু প্রথম একাদশ নয়, রিজার্ভ বেঞ্চ তৈরির কাজটাও সাফল্যের সঙ্গে করেছে কুয়াদ্রাত। আজ ইস্টবেঙ্গলও প্রথম একাদশের চার-চারজন ফুটবলারকে ছাড়া খেলছে। তারমধ্যে তিনজনই ডিফেন্সের অংশ। তাদের ছাড়াই এমন দাপট দেখানোর কৃতিত্ব পুরোটাই দেব কুয়াদ্রাতকে। ফুটবলে চোট নতুন কথা নয়। সে-ই ভালো কোচ, যে নিজের দলকে সেসব সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য তৈরি রাখে। যেমন কুয়াদ্রাত রেখেছে। যার ফলে ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সিভ অর্গানাইজেশনে কোনও সমস্যা হয়নি। সেখানে মোহনবাগান ডিফেন্সের অবস্থা চোখে দেখা যায় না! 

[আরও পড়ুন: অনুষ্টুপ-অভিষেকের ব্যাটে লড়াইয়ে ফিরল বাংলা, বড় রানের লিড পাবে?]

আসলে মোহনবাগানের রিজার্ভ বেঞ্চ সেভাবে পরীক্ষিত নয়। কুয়াদ্রাত খেলার সুযোগ দিয়ে প্লেয়ারদের তৈরি করেছে। সেখানে মোহনবাগানের সদ্য প্রাক্তন কোচ জুয়ান ফেরান্দো একটা সেট দলের বাইরে যায়নি কখনও, ম্যাচের পর ম্যাচ। ফলে অন্য প্লেয়াররা সেভাবে খেলার সুযোগই পায়নি। সুপার কাপে সেই প্রথম দলের ফুটবলাররা না থাকায় অনভিজ্ঞ রিজার্ভ বেঞ্চ পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি। হুগো বুমোস আর কিয়ান নাসিরি ভালো খেললেও ইস্টবেঙ্গলের চাপ ঠেকানোর ক্ষমতা মোহনবাগানের ছিল না।
ইস্টবেঙ্গলের এই জয়ে আরও একটা ফ্যাক্টর ক্লেটন। অসম্ভব সুযোগসন্ধানী। বক্সের মধ্যে বল পেলে ও ভয়ংকর হয়ে ওঠে। আজ ওর প্রথম গোলটার কথাই ধরুন। যেখানে বলটা পেয়েছিল, সেটা হাফ চান্সও নয়। বড়জোর একফুট জায়গা পেয়েছিল। সেখান থেকে যেখানে বলটা রাখল ক্লেটন, কোনও গোলকিপারই সেটা ঠেকাতে পারত না। লিগ টেবলের নিচে পড়ে থাকা একটা দলকে সুপার কাপ জয়ের দৌড়ে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব ক্লেটন-কুয়াদ্রাতকে দিতেই হবে।

Advertisement

 

[আরও পড়ুন: ডুরান্ড ফাইনালে তিনিই ছিলেন নায়ক, ওড়িশায় পেনাল্টি নষ্ট করে ভিলেন কি পেত্রাতোস?]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement