সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘গর্বের একশো’, ‘স্পর্ধার একশো’ এবং আরও অনেক কিছু। সকাল থেকেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে এমন ছবি-বার্তা ঘুরে বেড়াচ্ছিল। ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ পূরণ। তাই লাল-হলুদ দিবস নিয়ে উত্তেজনার রেশ তো থাকবেই। না উত্তেজনা, আবেগের বিস্ফোরণ অবশ্য ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডেই সীমাবদ্ধ রইল, তা নয়। সকাল থেকেই লেসলি ক্লডিয়াস সরণিতে কচি হলুদ ও সিঁদুরে লালের দাপুটে উপস্থিতি চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। বেলা যত বাড়ল, ওই দুই রঙের ঘনত্ব বেড়ে চলল পাল্লা দিয়ে।
বৃহস্পতিবার সকাল সকালই চলে আসে মজিদ বাসকরের ভিডিও বার্তা। ম্যাজিশিয়ান ফুটবলার সেখানে বলছেন, “ইস্টবেঙ্গল শতবর্ষ। ক্লাব ও অসংখ্য সমর্থককে শুভেচ্ছা। শীঘ্রই কলকাতা আসছি।” নেতাজি ইন্ডোরে সেই ভিডিও দেখানো হল মূল অনুষ্ঠানের শুরুতেই। সকালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিষ্ঠা সুরেশ চৌধুরির বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রাক্তন ফুটবলাররা। তালিকায় বাইচুং ভুটিয়া, সুভাষ ভৌমিক, অ্যালভিটো ডি কুনহারা। শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারও ছিলেন। শতবর্ষ উদযাপনের সেলিব্রেশন হিসাবে কেক কাটা হল। পুরো জায়গাটা বিশাল লাল-হলুদ পতাকা ও রং দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। ওড়ানো হল লাল-হলুদ বেলুনও। ঘরের ছেলে বাইচুং। এমন দিনে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেন না তিনিও। বললেন এবছর একটি ম্যাচ খেলে ক্লাবকে বিদায় জানাবেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান মঞ্চে তথাগত রায়ের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,”ইস্টবেঙ্গলের লোকেরা নাকি শুধু ইস্টবেঙ্গল। ওয়েস্ট বেঙ্গল-ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে নাকি ফারাক আছে। এটা শুনে আমি নিজে সবচেয়ে লজ্জিত বোধ করেছি। আমি এপার বাংলায় জন্মেছি বলে এটা নয় যে আমি ইস্টবেঙ্গলকে ভালবাসি না। এটা ইস্টবেঙ্গলের অসম্মান। কিছু জিনিসের কোনও ভৌগলিক সীমারেখা থাকে না। আমি আপনাদের স্যালুট জানাতে এসেছি। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে এসেছি।” একই সঙ্গে একশো বছর পূর্ণ হওয়ার জন্য ইস্টবেঙ্গলকে বিশেষ সম্মান দেওয়া হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
শতবর্ষে ‘ভারত গৌরব’ সম্মান পেলেন বিশ্বকাপজয়ী ভারত অধিনায়ক কপিল দেব। পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া হল ‘কোচ অব কোচেস’ সম্মান। শতবর্ষে জীবনকৃতি সম্মান পেলেন দুই প্রাক্তন ফুটবলার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়। এবছরের বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন লালডানমাওয়াইয়া রালতে। সংবাদ প্রতিদিনের যুগ্ম সম্পাদক গৌতম ভট্টাচার্য এবং প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার এবং ফুটবল লিখিয়ে নোভি কাপাডিয়া, এই দুই বরেণ্য সংবাদিককে সম্মান জানানো হয়। সংবর্ধনা দেওয়া হবে দুই রেফারি রণাঙ্কুর ঘোষ এবং সুনীল মল্লিককে। বিশেষ সম্মান দেওয়া হয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। ‘শতবর্ষের সেরা আবিষ্কার’ খেতাব পেলেন বাইচুং ভুটিয়া। সম্মাননা দেওয়া হয় ভারতীয় ফুটবল দলের বর্তমান অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীকেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.