ইস্টবেঙ্গল: ৩ (রালতে, কোলাডো-২)
এরিয়ান: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কল্যাণী আর ইস্টবেঙ্গল মাঠ। বুধবার বাবা কিংবা ছেলে, কারও ভাগ্যই সহায় হল না। ময়দানের দুই প্রধানের কাছে পরাস্ত রঘু এবং রাজদীপ নন্দী। একদিকে যখন লড়াই করেও কিবু ভিকুনার মোহনবাগানের কাছে পরাস্ত রঘু নন্দী, তখন লাল-হলুদ ব্রিগেডের কাছে রীতিমতো মুখ থুবড়েই পড়ল রাজদীপের এরিয়ান।
কলকাতা লিগে বরাবরের গাঁট এরিয়ান। তাই প্রতিবেশী ক্লাবকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই ছিল না। বিশেষ করে ডার্বির আগে জয়ের ধারাই বজায় রাখতে মরিয়া ছিল আলেজান্দ্রো অ্যান্ড কোং। বিএসএস-এর পর এরিয়ানের বিরুদ্ধেও দলগত পারফরম্যান্সে হাসি ফুটল ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। এদিন শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন কোলাডোরা। শুরুতেই সেটপিস থেকে গোলের সুযোগ এসেছিল। যদিও তা কাজে লাগাতে পারেননি কোলাডো। প্রথমার্ধে আরও কয়েকবার গোলের পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু স্কোরকার্ড বদলায়নি। ৪১ মিনিটে গাঁট ছাড়ল। ডানদিক থেকে ব্রেন্ডনের পাস থেকে দুর্দান্ত গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লালরিন্ডিকা রালতে।
দ্বিতীয়ার্ধে দুটি দর্শনীয় গোল করেন দলের তারকা বিদেশি কোলাডো। কাসিম, অলিভিয়েরা হয়ে কোলাডোর পা ছুঁয়ে বল প্রতিপক্ষের জালে জড়ায়। দ্বিতীয় গোলটির নেপথ্যেও অলিভিয়েরা। ডার্বির আগে ফরোয়ার্ড লাইন ও মাঝমাঠের দারুণ বোঝাপড়া নিঃসন্দেহে স্বস্তি দিচ্ছে কোচ আলেজান্দ্রোকে। তবে সামাদ ও বিদ্যাসাগররা গোলের সুযোগ হাতছাড়া না করলে আরও বড় ব্যবধানে জিততেই পারত লাল-হলুদ।
আগামী ১ সেপ্টেম্বর মরশুমের প্রথম ডার্বি। বড় ম্যাচের আগে এরিয়ানের বিরুদ্ধে জয়টা দলে নতুন করে অক্সিজেন জোগাবে। তাছাড়া এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচে ছ’পয়েন্ট হয়ে গেল তাদের। অন্যদিকে তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট মোহনবাগানের। সেদিক থেকেও ডার্বির গুরুত্ব অনেকটা বাড়ল। ডুরান্ডে সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। আর মোহনবাগান হয়েছে রানার্স-আপ। এমন পরিস্থিতিতে লাল-হলুদ সমর্থকদের তরফে ডার্বি জয়ের চাপটা অনেকগুণ বেড়ে গিয়েছে। এবার দেখার মরশুমের প্রথম হাইভোল্টেজ ম্যাচে দুই স্প্যানিশ কোচের লড়াইয়ের ফল কী হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.