ইস্টবেঙ্গল: ৬ (কোলাডো ২, বিদ্যাসাগর ২, পিন্টু, হাওকিপ)
জামশেদপুর: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএসএলের ক্লাব জামশেদপুর এফসিকে গোলের মালা পরাল ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার ঘরের মাঠে জামশেদপুরের ক্লাবকে ৬-০ গোলে দুরমুশ করল লাল-হলুদ শিবির। সেই সঙ্গে ডুরান্ডের সেমিফাইনালের টিকিটও কার্যত নিশ্চিত করে ফেলল শতবর্ষের ক্লাব। শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে ড্র করলেই নিশ্চিত শেষ চার।
সোমবার বেঙ্গালুরু এফসি আর্মি রেডের সঙ্গে ড্র করায় ইস্টবেঙ্গলের কাজটা সহজ হয়ে যায়। জামশেদপুরকে হারাতে পারলেই সুযোগ ছিল সেমিফাইনালের টিকিট কার্যত নিশ্চিত করে ফেলার। তাই দল নিয়ে খুব একটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার দিকে যাননি কোচ আলেজান্দ্রো। কোলাডো, কাশেম, মার্টি, পিন্টু মাহাতো, কমলপ্রিত, বিদ্যাসাগর সিংদের মতো তারকাকে তিনি এদিন প্রথম একাদশে রাখেন। অনেকে মনে করছিলেন শুক্রবার কলকাতা লিগের ম্যাচের কথা মাথায় রেখে এদিন দলের প্রথম সারির তারকাদের বিশ্রাম দিতে পারেন কোচ। কিন্তু, আলেজান্দ্রো সে পথে হাটেননি। অন্যদিকে, ডুরান্ডে নিজেদের সেরা দল পাঠায়নি জামশেদপুর। তাঁরা পাঠিয়েছে রিজার্ভ দল। আসলে এই টুর্নামেন্টটিকে ইয়ুথ ডেভলপমেন্টের জন্য ব্যবহার করতে চাইছে আইএসএলের ক্লাবটি। তাই ম্যাচ শুরুর আগেই খানিকটা অ্যাডভান্টেজ পেয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ধারেভারে অনেকটাই এগিয়ে ছিল লাল-হলুদ শিবির। তার উপর ছিল ঘরের মাঠে খেলার অতিরিক্ত অ্যাডভান্টেজ।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই জামশেদপুরের উপর জাঁকিয়ে বসে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচ শুরুর মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই পেনাল্টি থেকে প্রথম গোলটি করে ফেলেন কোলাডো। তিন মিনিট বাদে আবার গোল। এবারেও কোলাডো। শুরুতেই জোড়া গোল খাওয়ার ধাক্কাটা আর সামলাতে পারেনি জামশেদপুর। তাছাড়া, রিজার্ভ দলে তেমন উঁচু মানের ফুটবলারও ছিলেন না। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন পিন্টু মাহাতো। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হয় বিদ্যাসাগর-শো।৭৪ ও ৮২ মিনিটে দুটি গোল করেন তিনি। ষষ্ঠ তথা শেষ গোলটি করেন হাওকিপ।প্রথম ম্যাচে আর্মি রেডের বিরুদ্ধে গোল পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল লাল-হলুদকে। এদিন, এতগুলো পাওয়ায় নিঃসন্দেহে স্বস্তি পাবেন কোচ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.