স্টাফ রিপোর্টার: প্রস্তাবিত ভাবনাতেই পড়ল সিলমোহর। ১৬ আগস্ট মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল (East Bengal), ময়দানের ‘বড় ম্যাচ’ দিয়েই শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যশালী ডুরান্ড কাপ (Durand Cup)। কলকাতার পাশাপাশি ১৩১তম ডুরান্ড কাপের ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেল গুয়াহাটি, ইম্ফল।
অতীতে নয়াদিল্লি এবং পরবর্তীতে কলকাতায় ডুরান্ডের ম্যাচ আয়োজন হলেও এই প্রথমবার উত্তর-পূর্ব ভারতের দুই রাজ্য অসম ও মণিপুরে এই প্রতিযোগিতার ম্যাচ আয়োজিত হতে চলেছে। কোভিড (COVID-19) সতর্কতার জন্য গতবার শুধু ফাইনালে দর্শক প্রবেশাধিকারে অনুমতি দিয়েছিল ডুরান্ড কমিটি। এবার সেইরকম কোনও বাধানিষেধ থাকছে না। অর্থাৎ ডার্বি ম্যাচেই দর্শকরা মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন।
১৮ সেপ্টেম্বর ফাইনাল-সহ যুবভারতীতে ডুরান্ডের দশটি ম্যাচ আয়োজিত হবে। ১৬টি থেকে বেড়ে এবার ডুরান্ডে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ২০। থাকছে আইএসএলের (ISL) প্রথম সারির দলগুলিও। যুবভারতীর পাশাপাশি বাংলার আরও দুটি স্টেডিয়াম কিশোরভারতী ও নৈহাটিতে আয়োজিত হবে ডুরান্ডের ম্যাচ। ডুরান্ড প্রসঙ্গে এআইএফএফের কার্যনির্বাহী সচিব সুনন্দ ধর বলেছেন, “ডুরান্ড কাপ তার অতীত গরিমা নিয়ে ফিরতে চলেছে, এটা দেখে ভাল লাগছে। ২০ দলটি এবার ডুরান্ড কাপে নিচ্ছে। ফলে প্রতিটি ম্যাচ দারুণ চিত্তাকর্ষক হবে, সেরকমই আমরা আশা করছি।”
বস্তুত, ডুরান্ডের হাত ধরেই ফের কলকাতা ডার্বিতে (Kolkata Derby) দর্শকরা প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন। দীর্ঘদিন বাদে শহরের বুকে দর্শক-সহ ডার্বি ম্যাচ হতে চলেছে। ফলে নতুন করে দুই ক্লাবের সমর্থকরা উৎসাহিত। যদিও দলগঠনের দিক থেকে এবারেও মোহনবাগানের থেকে অনেকটা পিছিয়ে ইস্টবেঙ্গল। এখনও বিনিয়োগকারী সংস্থা ইমামির (Emami) সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারেননি লাল-হলুদ কর্তারা। স্বাভাবিকভাবেই দলগঠনের কাজ এগোয়নি। তবে ক্লাব সূত্রের খবর, চুক্তির সব শর্ত চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। নতুন সপ্তাহের গোড়ার দিকেই সই হয়ে যাবে। তারপরই জোরকদমে দলবদলের বাজারে ঝাঁপাবে ইস্টবেঙ্গল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.