দেবাশিস সেন: দেশের মাটি আরও একবার ধন্য হল তাঁর পায়ের ছোঁয়ায়। ভারতে ফুটবল আনবেন। এই প্রতিশ্রুতি নিয়েই দ্বিতীয়বার এ দেশে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু মধুরেণ সমাপয়েৎ হওয়ার আগেই গোল বাধল। মেজাজ হারিয়ে সকলের সামনে নিজের ম্যানেজারকে চড় কষালেন দিয়েগো মারাদোনা।
তিনদিনের ভারত সফরের মঙ্গলবারই ছিল শেষদিন। আর শেষদিনে একগুচ্ছ প্রোগ্রাম ছিল মারাদোনার। দুপুরে বারাসতের আদিত্য স্কুল অফ স্পোর্টসে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই একটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দলের বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সেখানে পৌঁছতে অনেকটাই দেরি করে ফেলেন। তাই আর ম্যাচে নামেননি মারাদোনা। তবে তাঁর বাঁ-পায়ের অনবদ্য ড্রিবলিং থেকে স্কুলের কচিকাঁচাদের বঞ্চিত করলেন না বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। ৫৭ বছরের মারাদোনা জানান দিলেন এখনও কতটা ফিট তিনি। সৌরভের সঙ্গেও বেশ খানিকক্ষণ সময় কাটান। কিংবদন্তি ফুটবলার বলেন, “আমি এ দেশে এসেছি ফুটবলের টানে। ফুটবলের উন্নতির জন্য ক্রীড়ামন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলছি। সকলে একসঙ্গেই ফুটবলকে সফল করতে হবে।” দ্বিতীয়বার এ দেশের আতিথেয়তায় যে তিনি আপ্লুত, সে কথা জানাতেও ভোলেননি তিনি।
তারপর সেখান থেকে চলে আসেন মাদার হাউসে। মোমবাতি জ্বালিয়ে সন্ত টেরিজার সামনে প্রার্থনাও করেন। এতদূর পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। গোল বাধল মাদার হাউস থেকে বেরনোর সময়। কিংবদন্তিকে দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল মাদার হাউসের বাইরে। তখনই তাঁর গাড়ির কাচে ধাক্কা লাগায় মেজাজ হারান মারাদোনা। নিজেকে কোনওক্রমে সামলে নিয়ে রওনা দেন চেতলা অগ্রণী ক্লাবের উদ্দেশে। কিন্তু সেখানের ভিড় দেখে থমকে যান তিনি। নিরাপত্তার কারণেই এমন জনজোয়ারের মধ্যে গাড়ি থেকে নামতে চাননি তিনি। ক্লাবকর্তাদের টালবাহানায় প্রায় ৪৫ মিনিট গাড়িতেই বসে থাকেন। শেষমেশ তাঁর ম্যানেজার সার্জিও এসে তাঁকে দু’মিনিটের জন্য গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার অনুরোধ জানালে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন আর্জেন্টাইন তারকা। মেজাজ হারিয়ে সকলের সামনেই চড় মারেন সার্জিওকে। পরিস্থিতি সামলাতে আর দিয়েগোকে নামতে বলা হয়নি। গাড়িতে বসেই ক্লাবের জন্য একটি স্মারকে অটোগ্রাফ দিয়ে হোটেল রওনা দেন। বুধবার সকাল ৮টার বিমানে দুবাই ফিরবেন
ফুটবলের রাজপুত্র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.