ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যখন মনে হচ্ছিল ২৩ অক্টোবর আনোয়ারের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানা যাবে, তখনই ফের তৈরি হয়ে গেল আইনি জটিলতা। যে কমিটি প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি আনোয়ারের(Anwar Ali) শাস্তির সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে, সেই কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল দিল্লি হাইকোর্ট ও রঞ্জিত বাজাজ। এদিন টুইট করে রঞ্জিত বাজাজ জানালেন সেই ঘটনার কথা। ফলে আনোয়ারের শাস্তি সংক্রান্ত বিষয় ফের ঝুলে যেতে পারে।
টুইট করে বাজাজ জানান, ২০ জুলাই ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির মিটিংয়ে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত জেনারেল সেক্রেটারি সত্য নারায়ণ বলেছিলেন, ফেডারেশনের যত লিগাল কমিটি তৈরি হয়েছে তা সভাপতি কল্যাণ চৌবে এবং কার্যকরী কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে পূর্বতন সেক্রেটারি সাজি প্রভাকরণ গঠন করেছিলেন। ফলে এই কমিটিগুলোর কোন অস্তিত্ব থাকতে পারে না।
কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে উলটো চিত্র। কার্যকরী কমিটির অনুমোদিত কোন সাব কমিটি তৈরি না হলেও সেই কমিটিগুলো বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন ক্লাবকে শাস্তি দিচ্ছে এবং একই সঙ্গে জরিমানাও করছে। দিল্লি এফসি, ইস্টবেঙ্গল, কেরালা ব্লাস্টার্স-সহ এই রকম ২০০ টি কেসে এই বেআইনি কমিটি শাস্তি দিয়েছে যা বৈধ নয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্ট ফেডারেশনকে বলেছে, অবিলম্বে এফিডেফিট করে এই সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পেশ করতে।
বাজাজের টুইটের পর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে আনোয়ার আলিকে ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি শাস্তি স্বরূপ চার মাসের নির্বাসন দিয়েছিল। ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লি এফসিকেও শাস্তি দিয়েছিল। পরবর্তীকালে আদালতের নির্দেশে সেই রায়ে স্থগিতাদেশ জারি হয়। আদালতের নির্দেশেই ফের নতুন করে শুনানি শুরু হয় আনোয়ার ইস্যুর। আনোয়ারের আইনজীবির শারিরীক অসুস্থতার জন্য সেই শুনানি দু’বারই পিছিয়ে গিয়েছে। প্রথমবার শুনানি ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর। সেই শুনানি পিছিয়ে গিয়ে হয়েছিল ১৪ অক্টোবর। সেদিনও অসুস্থতার জন্য আনোয়ারের আইনজীবি উপস্থিত হতে পারেননি। তখন ২৩ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়। তার আগেই বাজাজের এই টুইটে ফের সরগরম ফুটবল মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.