অভিরূপ দাস: ভারতে আসতে চান ডেভিড বেকহ্যাম (David Beckham)। একজন ভাল গাইড খুঁজছেন। শুধু দেশ ভ্রমণই নয়, যিনি তাঁকে চিনিয়ে দেবেন ভারতের কোন অঞ্চলের কোন কোন খাবার বিখ্যাত। খাদ্যরসিক ফুটবলার মুখিয়ে আছেন রাজস্থানের ডালবাটি চুরমা কিংবা কলকাতার কষা মাংস চেখে দেখার জন্য। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের এককালের সেরা মিডফিল্ডার নিজের মুখেই জানিয়েছেন সে কথা।
সম্প্রতি টাটা এআইএ লাইফ ইনসিওরেন্সের ভারচুয়াল হেল্থ ইভেন্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ব্রিটিশ তারকা জানিয়েছেন, “ভারত মানেই আমার কাছে অসাধারণ কিছু খাবার। আমি নিজে মশলা দেওয়া খাবার অত্যন্ত ভালবাসি। পরিকল্পনা করছি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলেই ভারতে পা রাখব। একজন ভাল ট্র্যাভেল গাইডের প্রয়োজন।”
ইংল্যান্ডে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি মানুষ। প্রাণ গিয়েছে প্রায় ৪১ হাজার জনের। বেকহ্যাম জানিয়েছেন, হল্যান্ড পার্কের যে অঞ্চলে তিনি থাকেন সেই জায়গাটা ঘন জনবসতিপূর্ণ নয়। কেমন কাটল লকডাউন? তাঁর চার সন্তানের একদম বড়জনের বয়স ২১। কনিষ্ঠতম ৯। বেকহ্যামের কথায়, “সবাই মিলে পারিবারিক সময় কাটিয়েছি। এমন কিছু স্মৃতি তৈরি করেছি যা সারাজীবন রয়ে যাবে।” করোনা আবহে যারা ঘরবন্দি কিংবা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন তাঁদের জন্য ২০০১ ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পরামর্শ, “লক্ষ রাখবেন মানসিক অবসাদ যেন কোনওভাবেই গ্রাস না করে।”
করোনা আবহে বন্ধ স্কুল। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে ভারত। সে খবরও রাখেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের প্রাক্তনী। বলছেন, “ভারতে সংক্রমণ বাড়ছে। স্কুল এখন না খোলাই শ্রেয়। ছোটরা বাড়িতে। দেখবেন যেন ওদের অবসাদ না গ্রাস করে। তাঁর কথায়, ছোটদের সঙ্গে দারুণ কিছু মুহূর্ত কাটান। একসঙ্গে সিনেমা দেখুন। স্কুলের বইখাতা খুলে ওর সঙ্গে আপনিও বসে পড়ুন। লকডাউনে আমিও বাচ্চাদের সঙ্গে দারুণ কিছু সময় কাটিয়েছি।” লকডাউনে সিনেমাও দেখেছেন বেকস্। সে তালিকায় ছিল গুরিন্দর চাড্ডা পরিচালিত “বেন্ড ইট লাইক বেকহ্যাম”। জানিয়েছেন, সময় সুযোগ পেলেই এই সিনেমাটা তিনি ডিভিডিতে চালিয়ে দেন। “আমি এতবার এই সিনেমাটা দেখেছি, যা কোনও ভারতীয়ও দেখেনি।” মুচকি হেসে বলেন বিশ্বখ্যাত তারকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.