স্টাফ রিপোর্টার: করোনা আতঙ্কের জেরে এবার কলকাতা ফুটবল লিগের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল। এই মরশুমে আদৌ ঘরোয়া লিগ হবে কিনা, নিশ্চিত নন আইএফএ (Indian Football Association) কর্তারা। তাঁরা এক কথায় দিশেহারা। জানেন না এবার ঘরোয়া লিগ শুরু করা সম্ভব কিনা। সেই অসহয়তার সুর শোনা গেল আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের গলায়।
প্রতিবারের মতো এবারও ঘরোয়া লিগ শুরু হওয়ার কথা ছিল পঞ্চম ডিভিশন দিয়ে। আসলে নিচের ডিভিশনের খেলাগুলো আগে শেষ করে দেওয়ার পথে এগোত রাজ্য ফুটবল সংস্থা। তারপর এক এক করে চতুর্থ, তৃতীয়, দ্বিতীয় ডিভিশন শুরু হত। সবশেষে প্রিমিয়ার ডিভিশনের খেলা। এবার সবকিছুর উপর অন্ধকার। “জানিনা, আদৌ লিগ শুরু করা সম্ভব কিনা। আগে মানুষ সুস্থ-শান্তিতে থাকুক। তারপর খেলার কথা ভাবব। তাই বুঝে উঠতে পারছি না কী করব।” বলছিলেন জয়দীপ। ঠিক করেছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্রীড়া দপ্তরের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। সেখানে ক্লাবগুলিকে ডাকবেন। “মে মাসে নিচের ডিভিশনের খেলাগুলো শুরু হত। এখন যা পরিস্থিতি জুন-জুলাইয়ের আগে খেলা শুরু করা অসম্ভব। তার মানে বহু খেলা বাতিল করতে হবে। সেক্ষেত্রে নীচের ডিভিশনের খেলা বাতিল হলে হবে।”
কোনও কারণে ঘরোয়া লিগ যদি বাতিল করতে হয় তাঁর আর্থিক ধাক্কাটা সামলানোও বেশ কঠিন হবে। জয়দীপ জানেন, কলকাতা ডিভিশনে খেলাগুলোর উপর কয়েক হাজার মানুষের রুটি-রুজির বিষয়টা জড়িয়ে।আইএফএ সচিব বলছিলেন, “প্রায় আড়াই হাজার ম্যাচ প্রতি বছর হয়। এই খেলার উপর অনেকের সংসার চলে। তাদের কথা ভেবে কষ্ট হচ্ছে। ক্লাবগুলো চলবে কী করে জানিনা। স্পনসর পাবে কিনা সন্দেহ।” আইএফএ চালাতে বছরে লাগে প্রায় ৫-৬ কোটি টাকা। “নতুন টাইটেল স্পনসর পাওয়ার দিকে এগোচ্ছিলাম। এই অবস্থার পর সেই স্পনসর পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।সত্যি, এক অদ্ভুত জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.