জার্সি নিয়ে বিতর্ক জার্মানিতে। ফাইল চিত্র
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জার্সি নিয়ে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না জার্মানির। সম্প্রতি জার্মান ব্র্যান্ড অ্যাডিডাসের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভাঙার কথা ঘোষণা করেছে সেদেশের ফুটবল ফেডারেশন। ২০২৭ সাল থেকে জার্সি তৈরির জন্য মার্কিন সংস্থা পুমার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে জার্মানিতে।
এরমধ্যেই অ্যাডিডাসের তৈরি করা নতুন জার্সি নিয়েও বিতর্ক দানা বেঁধেছে। মার্চের ফিফা উইন্ডোয় ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে দুটো ফ্রেন্ডলি এই জার্সিতেই খেলেছেন টনি ক্রুসরা। সেই জার্সির নকশায় যেভাবে ‘৪৪’ সংখ্যাটা লেখা হয়েছে, বিতর্ক তা নিয়েই। নতুন জার্সিতে যে নকশায় এই নম্বর লেখা হয়েছে, তার সঙ্গে মিল রয়েছে নাৎসি ‘শুটস্টাফল’ গোষ্ঠীর লোগোর। এই গোষ্ঠীকে মূলত ‘এসএস’ বলা হত। নাৎসি জার্মানিতে পুলিশ, আধা-সেনা, কমব্যাট ফোর্স ছিল এই গোষ্ঠীর অংশ।
এমনকি বিভিন্ন কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে চলা গণহত্যাও চলত এই কুখ্যাত গোষ্ঠীর নেতৃত্বে। বর্তমানে জার্মানিতে অনান্য নাৎসি চিহ্নের মতো এই লোগোও নিষিদ্ধ। ‘৪৪’ নম্বর জার্সির দু’টি চারকে পাশাপাশি দু’টি ‘এস’ অক্ষরের মতো দেখতে লাগছে বলে অভিযোগ উঠছে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করা হয়েছে জার্মান ফুটবল সংস্থা ও অ্যাডিডাসের তরফে। ইতিমধ্যেই সমর্থকদের এই জার্সির বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে অনলাইন স্টোর থেকে।
তবে নাৎসি গোষ্ঠীর সঙ্গে জার্সির নকশার কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছে জার্মান ফুটবল সংস্থা। টুইটারে তারা লিখেছে, ‘জার্সির নকশা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে এর সঙ্গে যুক্ত কোনও পক্ষই নাৎসি গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনও মিল লক্ষ্য করেনি।’ অম্যদিকে অ্যাডিডাস আবার দাবি করেছে, জার্সির নকশার সঙ্গে তারা জড়িত নয়। সংস্থার মুখপাত্র অলিভার ব্রুজেনের বক্তব্য, নকশা নিয়ে ফেডারেশন ও ১১টিমস্পোর্টস নামে একটি সংস্থা যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেয়।
অলিভার বলেন, “আমাদের সংস্থায় অন্তত একশো দেশের মানুষ কাজ করে। আমরা সবসময়ই বৈচিত্র ও সাম্যের সমর্থক। কোনও হিংসা, ঘৃণা ও জাতিবিদ্বেষকে আমরা সমর্থন করি না। এই জার্সির মাধ্যমে নাৎসিবাদের প্রচার করার কোনও উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না।” সামনেই ইউরোর আসর বসবে জার্মানিতে। তার আগে একের পর এক বিতর্কে চাপ বাড়ছে সেদেশের ফুটবল কর্তাদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.