সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোহনবাগান মানে ঐতিহ্য, গর্বের ইতিহাস, মন ভাল করা মুহূর্ত, আবেগ-ভালবাসা, নানা স্মৃতির আনা-গোনা। এভাবেই নিজের প্রিয় ক্লাবের প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলে দিলেন, মোহনবাগান নিয়ে আলোচনা হলেই সবার প্রথমে মায়ের কথা মনে পড়ে তাঁর। সেই সঙ্গে আনন্দের আমেজের মধ্যেই ৫০ লক্ষ টাকা অনুদানও ঘোষণা করলেন।
ঢেলে সাজানো হয়েছে সবুজ-মেরুন তাঁবু (Mohun Bagan)। কনফারেন্স রুম থেকে ক্যান্টিন- সবেতেই লেগেছে নতুনত্বের ছোঁয়া। বুধবার নতুন করে সেজে ওঠা এই সবুজ-মেরুন তাঁবুরই উদ্বোধনে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাও আবার সবুজ-মেরুন পাড়ের শাড়ি পরে। ঢাক বাজিয়ে তাঁকে ক্লাবে স্বাগত জানানো হয়। ক্লাবের খুদে সমর্থকরা ঘিরে ধরেন তাঁকে। হাসি মুখে তাদের সঙ্গে ছবিও তোলেন তিনি। এরপরই মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেন, যেখানে তাঁকে আজীবন সদস্য পদের সম্মান দেওয়া হয়।
মোহনবাগান নিয়ে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, “মোহনবাগানের কথা মনে পড়লে প্রথম আমার মায়ের কথা মনে পড়ে। একবার পেলে এসেছিলেন। বিদেশ গোল করেছিল। উথালপাথাল হয়েছিল বাংলা। আর মা পুজো পাঠাচ্ছে কালীবাড়িতে। মোহনবাগানের খেলা থাকলেই মা পুজো পাঠাত।” তাই ছোটবেলাতেই অজান্তে যেন তিনি ‘মোহনবাগানের মেয়ে’ হয়ে উঠেছিলেন। মমতা বলেন, বাংলায় কুৎসা ছিল না। খেলা, সংস্কৃতির জন্যই পরিচিত এ রাজ্য। সেই ঐতিহ্যকেই ধরে রাখার বার্তা দেন তিনি। তাই আজ যেভাবে এই ক্লাব সেজে উঠেছে, তাতে তিনি গর্বিত।
মোহনবাগান তাঁবুতে তৈরি হচ্ছে হেরিটেজ লন। চার-পাঁচ মাসের মধ্যেই তৈরি হবে স্পোর্টস লাইব্রেরি। এছাড়াও আগামীদের মধ্যে ক্রীড়া সংস্কৃতির বীজ পুঁতে দিতে বিলিয়ার্ড বোর্ড, টেবিল টেনিস বোর্ড ইত্যাদি নানা ক্রীড়া সরঞ্জাম রাখা হচ্ছে। এভাবেই যাতে ক্লাব উন্নতির সিঁড়ি চলতে পারে, তার জন্য রাখী পূর্ণিমার আগে ‘দিদি’ হিসেবে ক্লাবকে ৫০ লক্ষ টাকা অনুদানও ঘোষণা করলেন তিনি। এদিন একটি ফুটবলেও সই করেন তিনি। যা রাখা হবে ফুটবলের জাদুঘরে।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান স্পোর্টিংয়ের পাশাপাশি বঙ্গ বিভূষণ সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে মোহনবাগানকেও। তাতেই উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন দমে মরশুম শুরু করতে চলেছে গঙ্গাপারের ক্লাব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.