সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সের্জিও লোবেরাকে (Sergio Lobera) ছেড়ে দিল চিনের লিগ ওয়ান ক্লাব সিচুয়ান জিউনিউ এফসি। চাইনিজ লিগ ওয়ান শুরু হচ্ছে শনিবার থেকে। তার আগেই সিচুয়ানের তরফে জানানো হয়েছে, সের্জিও লোবেরা আর তাদের হেড কোচ নন।
এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই লোবেরাকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। তবে কি তিনি আসছেন ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal)? বেশ কয়েকদিন ধরেই স্পেনীয় কোচের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন লাল-হলুদ এবং বিনিয়োগকারী সংস্থা ইমামির কর্তারা। কিন্তু চিনের ক্লাব লোবেরাকে ছেড়ে দেওয়ায় আইএসএলের সফল কোচ যে লেসলি ক্লডিয়াস সরণীতেই পা রাখছেন এমন নিশ্চয়তা নেই। বরং তাঁর আসার সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর। বলা ভাল লোবেরা ভারতের ক্লাবে এলেও ইস্টবেঙ্গলে আসছেন না।
On the eve of the new China League One season, Sichuan Jiuniu have confirmed that Sergio Lobera is no longer their head coach and will be replaced by Jesus Tato on an interim basis. Tato’s first game as head coach will be tomorrow away at Shijiazhuang Kungfu. pic.twitter.com/ROgX0sXbW9
— FourFiveWonton (@FourFiveWonton) April 21, 2023
সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল (বৃহস্পতিবার) লোবেরার এজেন্ট মেল পাঠান। সেই মেলে জানানো হয়, চিনের ক্লাবের কাছ থেকে এনওসি পেতে লোবেরার আরও দিন পনেরো সময় লাগবে। আর যেহেতু সময় বেশি লাগছে, তাই ইস্টবেঙ্গল যদি মনে করে তাহলে অন্য কোনও কোচ দেখে নিতেও পারে লাল-হলুদ।
শুক্রবার সিচুয়ানের সঙ্গে লোবেরার সম্পর্কচ্ছেদের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে বিনিয়োগকারী সংস্থার এক কর্তা বলেই ফেললেন, ”আমাদের কাছে যা চেয়েছিলেন লোবেরা, সেটাই দিয়েছিলাম। কোচের জন্য আমরা অনির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করতে পারি না। নতুন প্লেয়ার নিতে হবে, কোচ নিয়োগ করতে হবে, টিম তৈরি করতে হবে। আমরা কাজ শুরু করেছিলাম মার্চের শেষে। ভেবেছিলাম পয়লা বৈশাখের মধ্যে সবকিছু হয়ে যাবে। কিন্তু এত কি সময় লাগে? আমি তো দেখলাম চাইনিজ ক্লাব ওকে ছেড়ে দিয়েছে। তাহলে ওর সই করতে সমস্যা কোথায়? লোবেরা আমাদের ধোঁকা দিলেন।”
লোবেরাকে নিয়ে এই মুহূর্তে নানা সংশয়। নানা প্রশ্ন। তাঁর নতুন ঠিকানা নিয়েও তৈরি হচ্ছে জল্পনা। ইস্টবেঙ্গলের পাশাপাশি ওড়িশার নামও জড়াচ্ছিল লোবেরার নামের সঙ্গে। উঠে আসছে হায়দরাবাদেরও নাম। লোবেরাকে পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শেষ হয়ে আসায় নতুন কোচের জন্য এখন ঝাঁপাতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। কুয়াদ্রাত, আন্তোনিও হাবাসের মতো কোচদের জীবনপঞ্জী জমা হয়েছে ইস্টবেঙ্গলে। কিন্তু দৌড়ে হাবাস অনেকটাই পিছিয়ে এই মুহূর্তে। কারণ হাবাস প্রায় দুই বছরের কাছাকাছি কোচিংয়ে নেই। তার উপরে হাবাসের মেজাজ পিছিয়ে রাখছে তাঁকে। ইস্টবেঙ্গলের রিমোট কন্ট্রোল এখন কার হাতে ওঠে, তার উত্তর আপাতত সময়ের গর্ভে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.