Advertisement
Advertisement
ইস্টবেঙ্গল

ডার্বির আগে কোয়েস-ক্লাবকর্তার নজিরবিহীন ঝামেলা, নেই সমর্থকদের উচ্ছ্বাস

ডার্বির আগে কি তবে অ্যাডভান্টেজে মোহনবাগান? কী বলছেন ডিকা?

Chaos between Quess and East Bengal official in practice before Derby
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:January 18, 2020 4:15 pm
  • Updated:January 18, 2020 4:17 pm  

সোহম দে: ডার্বির ২৪ ঘণ্টা আগে ক্লাব বনাম কোয়েসের বৈরিতা চরম আকার নিল। শেষপর্যন্ত ধমক খেয়ে কোয়েস কর্তা নিশ্চুপ হয়ে পড়লেও এমন ঘটনা সাধারণত দেখা যায় না। বিশেষ করে ডার্বির আগে তো নয়ই।

শনিবার ঘটনাটা ঘটে সাই মাঠে। তখন সবে প্র‌্যাকটিস শুরু হয়েছে। আগে থেকেই জানানো ছিল, প্র‌্যাকটিস শুরুর ১৫ মিনিট কেবলমাত্র সংবাদমাধ্যম মাঠে থাকতে পারবে। এটা মোটামুটি স্প্যানিশ কোচ আসার পর লাল-হলুদ শিবিরের চিরাচরিত প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিনও তাই মিনিট ১৫ প্র‌্যাকটিস শুরু হওয়ার পর কোয়েসের পক্ষ থেকে বলা হয় সংবাদমাধ্যমকে মাঠ ছেড়ে চলে যেতে। তখন মাঠের পাশে ছিলেন ক্লাবের কার্যনির্বাহি কমিটির অন্যতম কর্তা দেবব্রত সরকার। তাঁকে দেখে সংবাদিকরা এগিয়ে যান। তিনিও টুকিটাকি প্রশ্নের উত্তর দিতে শুরু করেন। সেই সময় কোয়েসের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের বলা হয়, আপনারা বেরিয়ে যান। নাহলে কোচ প্র‌্যাকটিস শুরু করতে পারছেন না। আসলে কোয়েস কর্তা ঝিকে মেরে বউকে শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন। অর্থাৎ সাংবাদিকদের বললে দেবব্রত সরকারও মাঠ থেকে বেরিয়ে যাবেন। বেরিয়ে যেতে হবে শুনেই প্রচন্ড ক্ষোভে ফেটে পড়েন দেবব্রত। গলা উঁচিয়ে বলতে থাকেন, “আমি কী করব না করব তা আপনার কাছ থেকে শুনতে হবে? কেন মাঠ থেকে বেরিয়ে যাব?”

Advertisement

[আরও পড়ুন: কামব্যাকেই চ্যাম্পিয়ন, চিনা জুটিকে হারিয়ে হোবার্ট ইন্টারন্যাশনাল খেতাব জয় সানিয়ার]

দেবব্রতর ধমক খেয়ে মুখ কালো হয়ে যায় কোয়েস কর্তার। ওদিকে আলেজান্দ্রো প্র‌্যাকটিস করানো বন্ধ রাখেন। তাঁর স্পষ্ট অভিমত, সর্বসমক্ষে তাঁর কৌশল কাউকে দেখতে দেবেন না। কিন্তু দেবব্রত বলে চলেন, “প্র‌্যাকটিস করানোর ক্ষেত্রে কী সমস্যা হবে তা সম্পূর্ণ কোচের ব্যাপার। তাঁর সমস্যা। আমাকে কেন বলা হবে?” তাঁর মেজাজ সপ্তমে উঠেছে দেখে কোয়েস কর্তা আর এগোনোর ভরসা পাননি। সেখানেই ব্যাপারটা থেমে যায়।

 

পরে সাংবাদিকদের দেবব্রত বলেন, “ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সকলকে বুঝিয়েছি ডার্বির মাহাত্ম্য কতখানি। জেতাটা কত জরুরী। এছাড়া আমাদের কিছু বলার নেই। আমাদের দলে প্রত্যেকেই জানে, ডার্বির ব্যাপারটা ঠিক কোথায় গিয়ে ঠেকে। অনেকে পুরো বিষয়টা না জানলেও, বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে সব শুনে নিয়েছে। ফেসবুকে জানছে। তাই বলতে পারি, নতুন করে ফুটবলারদের বোঝানোর আর দরকার পড়ে না।” তবে ইস্টবেঙ্গল কর্তা মানছেন না, দল হারলে আই লিগ থেকে আলেজান্দ্রো বাহিনী ছিটকে যাবে। তবে অদ্ভুত লাগল, ডার্বির আগে দলের প্র‌্যাকটিসে কোনও সমর্থক নেই। যা অবিশ্বাস্য।

EB-MB

এদিকে, ডার্বিতে নামার আগে মোহনবাগানের প্রশংসা শোনা গেল কোচ আলেজান্দ্রোর মুখে। আপাতত লিগ শীর্ষ গঙ্গাপারের ক্লাব। তাছাড়া জয়ের ছন্দে রয়েছেন ফ্রান গঞ্জালেজরা। ঠিক উলটো অবস্থা লাল-হলুদ শিবিরের। ছ’ম্যাচে আট পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে নেমে গিয়েছে দল। তার উপর গত দু’টি ম্যাচে হার। সাংবাদিক বৈঠকে কোচ আলেজান্দ্রো তাই বলছেন, সমস্ত ভুলত্রুটি শুধরেই মাঠে নামবেন। তাঁর কথায়, “মোহনবাগানের ডিফেন্সের থেকেও অ্যাটাকটা বেশি ভাল। আমরা গোল হজম করেছি ঠিকই, মোহনবাগানও কিন্তু গোল খেয়েছে। আমার দলের প্রতি ভরসা আছে। অনেকগুলো ম্যাচ আমরা ভালই খেলেছি। আর আগে কী হয়েছে না হয়েছে, সেসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। ডার্বিতে ফোকাস করে ভাল খেলতে হবে। এটাই হল আসল কথা।”

[আরও পড়ুন: গাঁটছড়া নিয়ে ফুটবলারদের আশ্বস্ত করলেন বাগান কর্তারা, ডার্বিতে আমন্ত্রণ গোয়েঙ্কাকে]

ডার্বির আগে কি তবে অ্যাডভান্টেজে মোহনবাগান? ডিকা কিন্তু তেমনটা মানতে নারাজ। বলছেন, “ডার্বি একেবারে আলাদা একটা ম্যাচ। দুই দলেরই ৫০-৫০ সুযোগ। এই ম্যাচে কী হবে আগে থেকে আন্দাজ করা কঠিন। কোচ যেভাবে বলবেন, সেভাবেই খেলব।”

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement