মোহনবাগান- ১ (শুভ ঘোষ)
এরিয়ান- ২ (এম্মা, সন্দীপ ওঁরাও)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরনো রোগ ফের বাসা বেঁধেছে গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে। সেই এক দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি। লিগের মোক্ষম সময়ে পয়েন্ট নষ্ট করার। বৃহ্স্পতিবার তেমনই কাজ করল মোহনবাগান। এদিন কল্যাণী স্টেডিয়ামে এরিয়ানের কাছে হেরে লিগের দৌড়ে পিছিয়ে গেল সবুজ-মেরুন শিবির। রক্ষণভাগে বিশ্রী পারফরম্যান্সের জেরে এরিয়ানের কাছে দু গোল হজম করল বাগান। ম্যাচের শেষ লগ্নে একটি গোল করে ব্যবধান কমান মোহনবাগানের শুভ ঘোষ। কিন্তু জেতার জন্য যা যথেষ্ট ছিল না। কল্যাণীতেই আগের দিন জর্জকে হারিয়ে লিগের ভাল অবস্থায় গিয়েছিল কিবু ভিকুনার দল। এদিন সেই কল্যাণীতেই ভরাডুবি হল পালতোলা নৌকার।
এদিন এরিয়ানকে হারাতে পারলে লিগ টেবিলের শীর্ষে চলে যেত বাগান। কিন্তু হল তার উলটোটা। জর্জ টেলিগ্রাফকে হারিয়ে কি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ভর করেছিল বাগানের ফুটবলারদের মধ্যে? এদিনের হতাশাজনক প্রদর্শনের পর সেই প্রশ্নই মাথাচাড়া দিচ্ছে। লিগের শুরুটা ভাল না হলেও ডার্বির পর থেকে মোহনবাগানকে দেখাচ্ছিল অন্যরকম। পরপর তিন ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে সবুজ মেরুন। বিদেশিরাও যেমন ফর্মে, তেমনি ফর্মে দেশীয় ফুটবলাররাও। আক্রমণভাগ নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে না পারলেও বাগানের মিডফিল্ড নিঃসন্দেহে লিগের অন্যতম সেরা বলা যায়। স্বাভাবিকভাবেই এরিয়ানের বিরুদ্ধে নামার আগে খুব একটা চিন্তায় ছিল না মোহনবাগান। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই কাল হল ভিকুনা অ্যান্ড কোম্পানির।
বিরতিতে গোলশূন্য থাকলেও ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে দুটি গোল করে এরিয়ান। এম্মা আর সন্দীপ ওঁরাওয়ের গোলে মোহনবাগান ডিফেন্সের কঙ্কালসার চেহারা ফুটে ওঠে। তারপর আর ম্যাচে ফেরা কঠিন হয়ে যায় বাগানের। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে ব্যবধান কমান মোহনবাগানের শুভ ঘোষ। কিন্তু ওইটুকুই। ইনজুরি টাইমে প্রচুর চেষ্টা করেও গোলশোধ করতে পারেনি সবুজ-মেরুন শিবির। এদিকে ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গল কালীঘাট মিলন সংঘকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে লিগ জমিয়ে দিল। যা দাঁড়াল, তাতে মোহনবাগানের থেকে লিগ ট্রফির দূরত্ব আরও বাড়ল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.