Advertisement
Advertisement

ডার্বির আগেই নামী বিদেশি কোচ ইস্টবেঙ্গলে! জোর জল্পনা ময়দানে

এরিয়ান ম্যাচের আগে প্রশ্নের মুখে সুভাষের ভবিষ্যৎ।

CFL 2018: East Bengal to face Aryan FC
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 18, 2018 11:41 am
  • Updated:August 18, 2018 11:41 am  

দুলাল দে: কলকাতা লিগের মাঝেই ইস্টবেঙ্গলের টিডি সুভাষ ভৌমিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে ডার্বিতে লাল-হলুদ বেঞ্চে বসবেন নতুন স্প্যানিশ কোচ। তাহলে কী ডার্বিতে সুভাষ ভৌমিক টিডি হিসেবে থাকবেন না? এর উত্তর নতুন বিদেশি কোচ দিতে পারবেন। তাঁর উপরই নির্ভর করছে সুভাষের ভাগ্য। তিনি চাইলে থাকবেন। না চাইলে নয়।

[নতুন সিস্টেম চালু হতেই ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি ভারতের]

হয়তো ঘটনাটা কাকতালীয়। কিন্তু কোয়েস নতুন কোচ খুঁজতে শুরু করে দিয়েছে বলে ব্যাপারটা অন্যরকম ঠেকছে। ইস্টবেঙ্গলের ৭০ ভাগ শেয়ার হোল্ডার হওয়ার পরদিনই কোয়েস কর্তারা ঠিক করে নেন, ইস্টবেঙ্গলে বড় প্রোফাইলের বিদেশি কোচ দরকার। যাঁর হাতে সিনিয়র দলের পাশাপাশি পুরো কোচিং সিষ্টেমটা থাকবে। অর্থাৎ, সিনিয়র দল যে সিস্টেমে প্র‌্যাকটিস করবে, জুনিয়র দলের  প্র‌্যাকটিস শিডউল তাই হবে। ইস্টবেঙ্গল কর্তারা এমনিতেই জুনিয়র দলের উপর জোর দিতে চাইছেন। যেন প্রতিবছর অন্য ক্লাব থেকে ফুটবলার  না এনে সাল্পাই লাইন থেকে চলে আসে। এই ভাবনা থেকে একজন হাই প্রোফাইল কোচকে নিয়ে আসার ভাবনা ছিল কোয়েস কর্তাদের। এই ভাবনা থেকেই বেঙ্গালুরু এফসি ছেড়ে যাওয়া রোকাকে ইস্টবেঙ্গলের কোচ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কোয়েস কর্তারা। শুরুতে রোকা যদি কোয়েস ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যেতেন, তাহলে এতদিনে ঘরোয়া লিগে কোচের চেয়ারে দেখা যেত রোকাকে। কিন্তু যে কারণে বেঙ্গালুরু ছেড়ে রোকা স্পেনে ফিরে গিয়েছেন, সেই একই কারণে কোয়েস কর্তাদের বলেন, তিনি এই মুহূর্তে ভারতে আসতে রাজি নন। অন্য সময় প্রস্তাব পেলে ভেবে দেখবেন।এরপরেই এজেন্টের মাধ্যমে অন্য একজন স্প্যানিশ কোচের সঙ্গে  অনেকদূর কথা এগিয়ে নিয়ে যান কর্তারা। শোনা যাচ্ছে, এই স্প্যানিশ কোচের বায়োডেটা না কী রোকার থেকেও ভাল। তাই এরকম কোচ হাতে পেয়ে হারাতে চান না কোয়েস কর্তারা। বেঙ্গালুরু স্টাইলে হাই প্রোফাইল কোনও কোচের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কে যেতে চাইছে ক্লাব। বছর বছর কোচ বদলানোর রীতিতে যেতে চান না কর্তারা।

Advertisement

[বাতিল ক্রোমার গোলেই জয় হাতছাড়া মোহনবাগানের]

তবে, সেসব বিতর্ক ছেড়ে আপাতত এরিয়ান ম্যাচের দিকে ফোকাস করতে চাইছেন সুভাষ ভৌমিক। এমনিতে ইস্টবেঙ্গলের জন্য এরিয়ান বরাবরের গাঁট। এবারও ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তারা ভাল জায়গায়। তাই এরিয়ান ম্যাচেও আল আমনাকে মাঠের বাইরে রাখার সাহস পাচ্ছেন না সুভাষ। আগের দিনই ক্লাবের পরামর্শে আমনাকে প্রথম থেকে খেলিয়ে পাঠচক্র ম্যাচ জিতেছেন। তাই আমনা নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। যতই লিগ শুরুর আগে সিরিয়ান ফুটবলারটিকে লিগে খেলানো নিয়ে লম্বা চওড়া কথা বলুন না কেন, এদিন বললেন, “এরিয়ানের বিরুদ্ধে ওকে খেলানো ছাড়া উপায় নেই। রালতের চোট। কবে ফিরবে বলতে পারছি না। রালতে না ফিরলে আমনা আর কাশেমই আমার ভরসা।”

কিছুদিন আগে মহামেডানকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিলেন এরিয়ান কোচ রাজদীপ নন্দী। সেই রাজদীপের বিরুদ্ধেই শনিবার অভিজ্ঞ সুভাষ। ইস্টবেঙ্গল টিডি বললেন, সব কোচই ভাল। কে কখন কাকে হারিয়ে দেবে বলা মুশকিল। আর ফুটবলে কোচের ভূমিকা ১০ শতাংশ। আসল কাজ তো ফুটবলারদেরই করতে হয়।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement