মহামেডান: ২ (ওমোলোজা, চাংটে)
পিয়ারলেস: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই ম্যাচের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা বাংলার ফুটবল মহল। বিশেষ করে মহামেডান এবং ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। দু’দলের সমর্থকরাই হয়তো চাইছিলেন যে কোনওভাবে পিয়ারলেসকে আটকে দিতে। এমনটাই করে দেখালেন মহামেডানের ফুটবলাররা। ঘরের মাঠে পিয়ারলেসকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়ে মহামেডান নিজে তো লিগ শীর্ষে গেলই, সেই সঙ্গে লিগের লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনলে ইস্টবেঙ্গলকেও।
১৯৫৮ সালের পর প্রথমবার তিন প্রধানের বাইরে কোনও দলের লিগ জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই ম্যাচের আগে ৮ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগের লড়াইয়ে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল পিয়ারলেস। মহামেডান ৯ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ছিল তৃতীয় স্থানে। পিয়ারলেসের থেকে ১ ম্যাচে বেশি খেলে সমসংখ্যক অর্থাৎ ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ইস্টবেঙ্গল। এই পরিস্থিতি মহামেডান-পিয়ারলেস ম্যাচের ফলাফল কী হচ্ছে তার উপর অনেকটাই নির্ভর করছিল লিগের ভাগ্য। দেখা গেল ঘরের মাঠে পিয়ারলেসকে সহজেই হারিয়ে দিয়ে নিজেদের জন্য লিগের পথ প্রশস্ত করে ফেল সাদা-কালো ব্রিগেড। ১০ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তাঁরা এখন লিগ শীর্ষে। অন্যদিকে, পিয়ারলেসের দখলে ৯ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট। একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ইস্টবেঙ্গলও। লিগের শেষদিকে এসে ছোট দলগুলি যেমন খেই হারিয়ে ফেলে, এদিন মহামেডানের বিরুদ্ধেও তেমনটাই হল পিয়ারলেসের। নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে পারফরম্যান্সের উন্নতি না হলে হয়তো ১৯৫৮ সালের রেকর্ড ভাঙা হবে না পিয়ারলেসের।
এদিন, দলের প্রধান স্তম্ভ ক্রোমাকে ছাড়াই নামতে হয় পিয়ারলেসকে। ফলে, জহর দাসের দলের আক্রমণভাগ এমনিতেই ভোঁতা হয়ে গিয়েছিল। রক্ষণেও এদিন চেনা ক্ষীপ্রতা দেখাতে পারল না পিয়ারলেস। আসলে ক্রোমার অনুপস্থিতি পুরো দলটাকেই নড়বড়ে করে দিয়েছিল। যার সুবিধা পুরোপুরি তুলে নিল মহামেডান। ম্যাচের প্রথমার্ধেই একাধিকবার আক্রমণে গিয়েছিল সাদা-কালো শিবির। তাতে অবশ্য গোল আসেনি। ম্যাচের বয়স যখন ঘণ্টাখানেক তখন ওমোলোজা মহামেডানের হয়ে প্রথম গোলটি করেন। দ্বিতীয় গোলটি আসে মাত্র ৯ মিনিটের মধ্যে। মহামেডানের হয়ে ব্যবধান বাড়ান চাংটে। মহামেডানের এরপর ম্যাচে আর কোনও গোল হয়নি। জয়ের ফলে লিগের লড়াই আরও জমে গেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.