ফাইল চিত্র।
স্টাফ রিপোর্টার : দু’টো দলই কলকাতা লিগে খেলে ফেলেছে সাতটা করে ম্যাচ। দু’টো দলেরই পয়েন্ট ১৯। তফাৎ শুধু গোলপার্থক্যে। আর তাতে এগিয়ে থাকার সুবাদে গ্রুপ ‘বি’-তে একে আছে ইস্টবেঙ্গল, দু’নম্বরে ভবানীপুর। সোমবার দুপুরে ইস্টবেঙ্গল মাঠে তাই দু’দলের লড়াইয়ের কেন্দ্রে রয়েছে গ্রুপ শীর্ষে ওঠার পাশাপাশি পয়েন্টের ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার লড়াই।
ঘরোয়া লিগে দুরন্ত ছন্দে রয়েছে লাল-হলুদের রিজার্ভ দল। শেষ তিন ম্যাচে জেতার পথে জেসিন টিকে, তন্ময় দাসরা করেছেন ১১ গোল, খাননি একটাও। কিন্তু অন্য প্রতিপক্ষের থেকে ভবানীপুর যে একটু আলাদা, ভালোই জানে লাল-হলুদ। গত দু’বছর লিগে এই দলকে হারাতে পারেনি তারা। তাই সোমবারের ম্যাচে আজাদ সাহিম, আমন সিকে, মহম্মদ মোশারফের পাশাপাশি পিভি বিষ্ণুকেও খেলানোর পথে হাঁটতে চলেছেন কোচ বিনো জর্জ। পাশাপাশি ফিরতে পারেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। চোটের জন্য সপ্তাহ তিনেক মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। তাঁর অবশ্য শুরু থেকে খেলার সম্ভাবনা কম।
চোটের জন্য নসীব রহমান, মহম্মদ রোশালরা ভবানীপুর ম্যাচেও নেই। তবে সেসব নিয়ে না ভেবে জয়ে ফোকাস করছেন কোচ বিনো। তাঁর কথায়, “দু’টো দলই গ্রুপ শীর্ষে ওঠার লড়াইয়ে নামছে। সেই সঙ্গে আমরা ম্যাচটা জিতে অপরাজিত তকমা ধরে রাখতে চাই।”
এদিন ঘরের মাঠে পরপর অনুশীলনে নামে লাল-হলুদের দুই স্কোয়াড। দশটা থেকে মাদিহ তালালরা ঘণ্টা দেড়েক অনুশীলন করার পর মাঠে নামে রিজার্ভ দল। তন্ময়-সাহিমের মতো ডুরান্ড কাপের স্কোয়াডে থাকা রিজার্ভ দলের ফুটবলাররা অবশ্য সিনিয়র দলের সঙ্গেই অনুশীলন করেন। এদিন অনুশীলনে আসেন দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকস এবং জিকসন সিং। চোটের জন্য শেষ কয়েকদিন অনুশীলন করেননি দিমিত্রয়স। শনিবার অনুশীলনে আসেননি জিকসনও। তবে ১৪ আগস্ট এএফসি-র ম্যাচে তাঁদের খেলতে সমস্যা হবে না বলেই আশা লাল-হলুদ শিবিরের।
অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গল নিয়ে সাবধানী ভবানীপুর কোচ শাহিদ রমন। টানা পাঁচ ম্যাচে জয়ে দল আত্মবিশ্বাসী। তবে কোচ রমন সাবধানে পদক্ষেপ করতে চাইছেন। তাঁর কথায়, “এমনিতে ইস্টবেঙ্গল আমাদের কাছে পরের ম্যাচের প্রতিপক্ষ মাত্র। আগের সব ম্যাচে প্রতিপক্ষকে যেভাবে সম্মান করেছি, ওদেরও সেটা করছি। কারণ ওরা ভালো দল। তবে আমরাও ভালো ফর্মে আছি। পরপর ম্যাচ জিতে ছেলেরা সেটা প্রমাণ করেছে। আমরা নিজেদের মতো করেই তৈরি হচ্ছি।” লাল-হলুদের ঘরের ছেলে দীপ সাহা এবার লিগে ভবানীপুরের অস্ত্র। বিশেষত প্রতিপক্ষ বক্সের সামনে ফ্রি-কিক পেলে তা কাজে লাগানোর ক্ষমতা আছে তাঁর। পাশাপাশি জিতেন মুর্মুও গোলের মধ্যে রয়েছেন, যা বড় ভরসা ভবানীপুরের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.