দুলাল দে: এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) জার্সি পরার জন্য মঙ্গলবারেও সমস্যা মিটল না সন্দেশের। যতক্ষণ না তাঁর ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব সিবেনিক রিলিজ দিচ্ছে, ততক্ষন পর্যন্ত সবুজ–মেরুনের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে পাকা কথা হয়ে গেলেও কোনওভাবেই চুক্তিতে সই করতে পারছেন না। ফলে সিবেনিকের রিলিজের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। তবে সন্দেশের সবুজ–মেরুনের জার্সি পরা, না পরার উপরে জানুয়ারিতে নতুন কোনও ডিফেন্ডারের সই হওয়া না হওয়া ভীষণভাবেই নির্ভর করছে। সন্দেশের সই হয়ে গেলে, আর কোনও ফুটবলারকেই সই করানো হবে না। আর সিবেনিক যদি রিলিজ না দেয়, তাহলে নতুন কোনও ডিফেন্ডার অবশ্যই সই করাবে এটিকে মোহনবাগান।
তবে ব্রাইটকে কোনওভাবেই নেওয়া হচ্ছে না। মানে, এখনও পর্যন্ত ব্রাইটকে (Bright Enobakhare) দলে নেওয়ার জন্য সামান্যতম চিন্তা ভাবনাও করেননি এটিকে মোহনবাগানের নতুন কোচ জুয়ান ফার্নান্দো। যেহেতু আলোচনাতেই নেই, তাই ব্রাইটকে সবুজ–মেরুনের তরফ থেকে কোনওরকম প্রস্তাব দেওয়ার প্রশ্নই উঠছে না।
শুধু এটিকে মোহনবাগান কেন, ব্রাইট এই মুহূর্তে ফ্রি ফুটবলার হলেও, ভারতের কোনও ক্লাবে আসাই এই মুহূর্তে অসম্ভব এই নাইজেরিয়ান ফুটবলারের জন্য। ব্যাপারটা তাহলে একটু খুলে বলা যাক।
কভেন্ট্রির সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করে ব্রাইট এই মুহূর্তে ফ্রি ফুটবলার। তবুও বারতে আসা বেশ সমস্যার। কলকাতা থেকে এসি ইস্টবেঙ্গল, কিংবা এটিকে মোহনবাগান আইএসএলের বাকি ম্যাচগুলি খেলার জন্য এখনও পর্যন্ত কোনওরকম প্রস্তাবই দেয়নি এই নাইজেরিয়ান ফুটবলারকে। ভারতীয় ক্লাব থেকে প্রস্তাব অবশ্য পেয়েছেন। তবে তা কলকাতার বাইরে অন্য ক্লাব থেকে। ফ্রি ফুটবলার দেখে, চেন্নাাই সিটি এফসি এবং এফসি গোয়া ব্রাইটকে নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েই আসল সমস্যাটা জানতে পারে।
ব্রাইট এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডের বাসিন্দা হলেও নাইজেরিয়ার পাসপোর্ট নিয়েই ভারতে খেলতে এসেছিল। আর সেই পাসপোর্টটি এখন হারিয়ে গেছে। ফলে চেন্নাই এবং এফসি গোয়া তাঁকে যখন প্রস্তাব দেয়, ব্রাইট জানান, নতুন করে পাসপোর্ট পেতে সপ্তাহ তিন লেগে যাবে। তারপর ভিসা নিয়ে ভারতে এসে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে আরও এগারো দিন। এতগুলি দিন চলে যাওয়ার পর, খেলার জন্য হাতে থাকবে শুধু আর ফেব্রুয়ারি মাস।
ব্রাইটের কথা শুনে পিছিয়ে এসেছে চেন্নাই এবং গোয়া। এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal) , কিংবা এটিকে মোহনবাগান, ব্রাইটকে নিয়ে আসার জন্য কোনওদিন ভাবেইনি। ফলে ইংল্যান্ডে বসে ব্রাইট যখন শুনলেন, তাঁকে একদিন লাল–হলুদ জার্সি, আরেকদিন সবুজ–মেরুন জার্সি পরানো হচ্ছে, হেসে ফেললেন তিনি।
তবে সন্দেশের সঙ্গে সবুজ–মেরুনের চুক্তি নিয়ে পুরোটাই পাকা। আসলে চোট সেরে যাওয়ার পর চুক্তিমতো সন্দেশ ফের সিবেনিকে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবলেও ভিসা পাচ্ছিলেন না। এদিকে, সবুজ–মেরুনও তাঁকে চাইছে। ফলে এবারের আইএসএলের বাককি ম্যাচগুলির জন্য সবুজ–মেরুনের আর্থিক প্রস্তাবে রাজি হয়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁর এজেন্ট মারফৎ ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব সিবেনিককে বোঝাচ্ছেন, পুরো চুক্তি একেবারে ভেঙে না ফেললেও, মার্চ পর্যন্ত লোনে ছেড়ে দিলে, এটিকে মোহনবাগানের হয়ে আইএসএলের বাকি ম্যাচগুলি খেলতে পারেন। কিন্তু সিবেনিক কর্তারাও এখনও সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেননি, সন্দেশকে পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া হবে না, তিন মাসের জন্য লোনে দেওয়া হবে। তবে হাতে এখনও সময় আছে। সন্দেশ আশাবাদী, দু’তিন দিনের মধ্যেই সমস্যা মিটবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.