ক্যামেরুন: ১ (আবুবকর)
ব্রাজিল: ০
সুইৎজারল্যান্ড:৩ (শাকিরি, এমবোলো, ফ্রুয়েলার)
সার্বিয়া:২ (মিত্রোভিচ,ভ্লাভোভিচ)
দুলাল দে, দোহা: অঘটনের বিশ্বকাপে (Qatar World Cup) ব্রাজিলেকে কি হারিয়ে দেবে ক্যামেরুন? এই আশঙ্কা নিয়েই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ শুরু হয়েছিল। সেই আশঙ্কাকেই সত্যি প্রমাণ করে দিলেন ক্যামেরুনের ফুটবলাররা। রিজার্ভ বেঞ্চের দল নামিয়ে ক্যামেরুনের কাছে হারল ব্রাজিল (Brazil vs Cameroon)। তবে জিতেও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল রজার মিল্লার দেশ। অন্যদিকে শেষ ষোলোয় উঠে গেল সুইৎজারল্যান্ড (Switzerland vs Serbia)। শুক্রবার টানটান ম্যাচে সার্বিয়াকে হারিয়ে দিল তারা।
স্পেনের বিরুদ্ধে জাপান বা পর্তুগালের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়ার জয় দেখে মনে হয়েছিল, শেষ ম্যাচে মরণ কামড় দিতে পারে ক্যামেরুনও। বাস্তবেও সেটাই হল। নিয়মরক্ষার ম্যাচে দলে ন’টি পরিবর্তন করেন তিতে। কার্যত দ্বিতীয় সারির ব্রাজিল দলের বিরুদ্ধে নামতে হয়েছিল স্যামুয়েল এটোর দেশকে। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলতে শুরু করেন ফ্রেডরা। ১৩ মিনিটে মার্টিনেলির গোলমুখী শট বাঁচান ক্যামেরুন গোল কিপার। ২১ মিনিটে রিচার্লিসনের মতো শট মারতে গিয়ে গোল মিস করেন ফ্রেড। সেলেকাও ফরোয়ার্ডদের থামাতে না পেরে ফিজিক্যাল ফুটবলের রাস্তায় নামে ক্যামেরুন। গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয় ম্যাচের প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের দশ মিনিট কাটতেই তিনটি পরিবর্তন করেন তিতে। আক্রমণের মাত্রাও বাড়ায় সেলেকাওরা। তবে একাধিক শট টার্গেটে রেখেও গোললাইন পেরতে পারেননি মারকুইনহোসরা। তার একমাত্র কারণ বিপক্ষ গোলকিপার ডেভিস এপাসি। ক্যামেরুনের প্রথম দলে খেলার কথাই ছিল না ১৯ বছর বয়সি এই গোলকিপারের। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিশ্বকাপ থেকে সাসপেন্ড করা হয় প্রথম দলের গোলকিপার আন্দ্রে ওনানাকে। তাঁর পরিবর্ত হিসাবে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে তিন গোল খেয়েছিলেন এপাসি। কিন্তু ব্রাজিলের একটাও শট গোলে ঢুকতে দেননি এই তরুণ। তাঁর গ্লাভসেই আটকে গেল সব আক্রমণ। প্রত্যেকটি ম্যাচ জিতে নক আউটে ওঠা হল না সেলেকাওদের।
ক্যামেরুনের রূপকথা তৈরি হল ৯০ মিনিটে। ব্রাজিলের হাফ থেকে মাপা পাসে ফরোয়ার্ডদের বল বাড়িয়েছিলেন ক্যামেরুনের মিডফিল্ডার। ভেসে আসা বলে আলতো করে মাথা ছুঁইয়ে গোলে জড়িয়ে দেন ভিক্টর আবুবকর। টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলেও ব্রাজিলকে হারানোর মতো বিশাল কৃতিত্ব নিয়েই দেশে ফিরবেন তাঁরা। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ব্রাজিলকে হারাল ক্যামেরুন।
জিতলেই নকআউট পর্বের টিকিট। এই কথা মাথায় রেখেই অপর ম্যাচে নেমেছিল সুইৎজারল্যান্ড ও সার্বিয়া। মোট ৫টি গোল হল এই ম্যাচে। খেলার প্রথম মিনিট থেকেই প্রতিটি পাসের জন্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছেন দুই দলের ফুটবলাররা। ২০ মিনিটেই গোল করেন জারদান শাকিরি। বক্সের মধ্যে মাপা পাস খেলে গোলে বল ঠেলে দেন তিনি। মাত্র ছয় মিনিটের মাথায় সমতা ফেরায় সার্বিয়া। ৩৭ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন দুসান ভ্লাহোভিচ। হাফ-টাইমের ঠিক আগেই গোল শোধ করে সুইৎজারল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমেই ৪৮ মিনিটে রেমো ফ্রুয়েলারের গোলে এগিয়ে যায় রজার ফেডেরারের দেশ। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি সার্বিয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.