Advertisement
Advertisement
Bhaichung Bhutia

রাজনৈতিক হস্তক্ষেপেই হার! ফেডারেশনের কমিটিতে থাকবেন কি না ভাববেন, দাবি বাইচুংয়ের

তবে এআইএফএফের নির্বাচনে হারলেও হতাশ নন ‘পাহাড়ি বিছে’ বাইচুং।

Bhaichung Bhutia set to decide whether he wants to stay in the AIFF committee | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:September 4, 2022 3:10 pm
  • Updated:September 4, 2022 3:10 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: ভারতের বিশিষ্ট প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার জন্য  স্বাভাবিকভাবেই কার্যকরী কমিটিতে এসেছেন বাইচুং ভুটিয়া। ফেডারেশনের নির্বাচনের আগেই এই ব্যাপারে তাঁকে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল। যদিও ফেডারেশনের নবনির্বাচিত কার্যকরী কমিটির শনিবারের বৈঠকে তিনি ছিলেন না। পরের মিটিংগুলিতেও তিনি আসবেন কিনা তা বলা যাচ্ছে না।

এই প্রসঙ্গে বাইচুংকে প্রশ্ন করা হলে সংবাদ সংস্থাকে তিনি জানান, “আমি কো-অপ্ট সদস্য হিসেবে ওখানে (এগজিকিউটিভ কমিটি) আছি। আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম না। দিনকয়েকের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব যে, কার্যকরী কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থাকব কি না।” প্রসঙ্গত, গতকাল দিল্লিতেই ছিলেন না বাইচুং। তিনি ছাড়াও ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটিতে প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যে রয়েছেন আইএম বিজয়ন, সাব্বির আলি, ক্লাইম্যাক্স লরেন্স। রয়েছেন পিংকি মাগর, থংজম তাবাবি দেবীর মতো প্রাক্তন মহিলা প্লেয়ার। ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে আইএম বিজয়নকে। অন্যদিকে, ফেডারেশনের পরমার্শদাতা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে সাব্বির আলিকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ১৭ মাস পর খুলছে হাওড়া স্টেশনের ফুড প্লাজা, ভারতীয় খাবারের পাশাপাশি মিলবে পিৎজা-বার্গারও]

তবে এআইএফএফের (AIFF) নির্বাচনে হারলেও হতাশ নন ‘পাহাড়ি বিছে’। বরং যে কৌশল অবলম্বন করে তাঁকে হারানো হয়েছে, সেই পদ্ধতি নিয়ে তিনি হতাশ। কারণ ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচনে কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার শুরু থেকেই বাইচুং জানতেন অসম যুদ্ধে তিনি লড়তে নেমেছেন। কিন্তু যে কৌশলে তাঁকে হারানো হল, সেই পদ্ধতি নিয়ে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের আপত্তি আছে। ফেডারেশনের নির্বাচনকে ঘিরে যে উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ঘটেছে, তা দেখে বিস্মিত বাইচুং (Bhaichung Bhutia) নিজেও। তার পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাইচুং বলেন, “আমি সত্যি অবাক হয়ে গিয়েছি। ফেডারেশনের নির্বাচনকে ঘিরে এতটা উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ঘটবে, তা মোটেই আশা করিনি। আমার কাছে এটা ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচন ছিল। দায়িত্ববান হিসেবে সেখানে নিজের অবদান রাখতে চেয়েছি।”

৩৩-১ ফলাফলে বাইচুংকে সভাপতি নির্বাচনে হারিয়েছেন কল্যাণ চৌবে। এই একপেশে জয় যখন ভবিতব্যই ছিল, তখন মাঝরাতে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে এসে হোটেলে ভোটারদের সঙ্গে বসে থাকতে হল কেন ? এখানেই প্রশ্ন বাইচুংয়ের। তিনি বলেন, “ওরা (প্রতিপক্ষ) যদি জয়ের ব্যাপারে এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিল, তাহলে কেন একজন প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বেশি রাতে হোটেলে আসতে হল? শুধু তাই নয়, রাত আড়াইটে, নির্বাচনের আগে ভোররাত পর্যন্ত তিনি ভোটারদের সঙ্গে ছিলেন। আর ভোটারদের (গোপালকৃষ্ণ কোসারাজু বাদে) রাখা হয়েছিল হোটেলের একটি নির্দিষ্ট ফ্লোরে। সেই ফ্লোরের সঙ্গে বাইরের সমস্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। আমি অনেক চেষ্টা করেও রাজস্থান স্টেট অ্যাসোসিয়েশনের সচিব, যিনি নিজেও ভোটার ছিলেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি।”

[আরও পড়ুন: ‘TET নেবেন না, আত্মহত্যা করব’, নিয়োগ তৎপরতা শুরু হতেই পর্ষদ সভাপতিকে হুমকি উত্তীর্ণদের]

কেন এতটা সময় ফেডারেশনের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ভোটারদের জন‌্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ‘ব্যয়’ করলেন, সেই কারণই খুঁজচ্ছেন বাইচুং। বাইচুং নাম না নিলেও রাজস্থান স্টেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানবেন্দ্র সিং একধাপ এগিয়ে সেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উদ্দেশে সরাসরি তোপ দেগেছেন। সেই মন্ত্রী আর কেউ নন, মোদি সরকারের আইন মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা কিরেন রিজিজু।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement