সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাইচুং ভুটিয়া ডাকতেন ছোটু বলে। লাল-হলুদ জার্সি গায়ে পাহাড়ি বিছে মাঠে নামলেই গ্যালারিতে গলা ফাটাতেন ছোটু। ময়দানে আবার তিনি পরিচিত ছিলেন ‘বেজি’ নামে। আসল নাম জয়দীপ দত্ত। কিডনির অসুখে ৪৩ বছর বয়সেই চলে গেলেন ইস্টবেঙ্গল অন্তপ্রাণ ছোটু।
ভক্তদের সমর্থনেই তো ভাল খেলার অনুপ্রেরণা পান ফুটবলাররা। ভাল-মন্দ দুই সময়েই যে তারকার পাশে দাঁড়ান, তিনিই তো হয়ে ওঠেন প্রকৃত ভক্ত। বাইচুংয়ের কাছে ছোটুও ছিলেন তেমনই একজন। ইস্টবেঙ্গলের অন্ধ সমর্থকের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে তাই মন খারাপ বাইচুংয়ের। স্মৃতির পাতা ঘেঁটে প্রিয় ছোটুর সঙ্গে তোলা নিজের একটি ছবিও সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করেন ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। লেখেন, “ছোটুর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে অত্যন্ত দুঃখিত। ও আমার শুভাকাঙ্খী তো বটেই, পরিবারের একজনের মতোই ছিল। ও ইস্টবেঙ্গলের সবচেয়ে বড় ভক্ত ছিল। ওর আত্মার শান্তি কামনা করি।” শোকস্তব্ধ বাইচুং বলেন, “আমি খারাপ খেললে আমার থেকে বেশি কষ্ট পেত ও। এই মুহূর্তে শহরে না থাকায় ছোটুর পরিবারের পাশে থাকতে পারছি না। খুব শীঘ্রই কলকাতায় গিয়ে ওর পরিবারের সঙ্গে দেখা করব।”
লাল-হলুদ ভক্ত তো বটেই, সেই সঙ্গে বেজিকে ময়দান চিনত অন্ধ বাইচুং সমর্থক বলে। হাতে বাইচুংয়ের নামে উল্কিও করিয়েছিলেন তিনি। সেই বেজি যখন চোখের অসুখে ভুগছিলেন, চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য করেছিলেন বাইচুং। এবারও যখন জানতে পারেন, তাঁর প্রিয় সমর্থক ছোটু মারাত্মক অসুস্থ, তখনও আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এগিয়ে আসেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারও। মন্ত্রী তাপস রায়ের সাহায্যে তাঁকে ভরতি করা হয়েছিল সরকারি হাসপাতালে। টানা কিছুদিন চিকিৎসার পর সোমবার ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন লাল-হলুদ সমর্থক। সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকজ্ঞাপন করেছেন তাঁর বন্ধু-বান্ধব এবং ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.