Advertisement
Advertisement
Santosh Trophy

‘বাংলার জার্সি পরে চার গোল খাওয়ার কী যুক্তি?’, প্রশ্ন ক্ষুব্ধ বিশ্বজিতের

সন্তোষ থেকে কার্যত ছিটকে গেল বাংলা। রনজি ফাইনালের জন্য লক্ষ্মী-মনোজদের শুভেচ্ছা বিশ্বজিতের।

Bengal lost against Manipur and out from Santosh Trophy । Sangbad Pratidin
Published by: Krishanu Mazumder
  • Posted:February 15, 2023 8:32 pm
  • Updated:February 16, 2023 12:10 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত কি একই সময়ে সম্ভব? সম্ভব নয়।  অথচ বঙ্গ ক্রীড়াজগত সেরকমই এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে!
ফুটবলে যখন বিষাদ সন্ধের রং, সন্তোষ ট্রফিতে (Santosh Trophy) বিধ্বস্ত হতে হয়েছে, মন খারাপের অনুভূতি  ময়দানে, ঠিক সেই সময়ে বাংলার ক্রিকেটে নতুন আশা। খরা কাটবে কি তেত্রিশ বছরের অপেক্ষার? বাংলা কি জয় ছিনিয়ে আনবে রঞ্জি ফাইনালে (Ranji Trophy Final)? এরকম একগুচ্ছ প্রশ্ন বুধবার উঁকি দিচ্ছে বাংলার ক্রীড়ামহলে। মণিপুরের কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ায় বাংলা একপ্রকার টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকেই গিয়েছে বলা যায়। অন্যদিকে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে রনজি ফাইনাল। শোকের আবহে দাঁড়িয়ে বাংলা কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য মনোজ তিওয়ারি-লক্ষ্মীরতন শুক্লাদের জন্য একবুক শুভেচ্ছা পাঠাচ্ছেন। বলছেন, ”ওরা ভাল খেলেই এতদূর অগ্রসর হয়েছে। আমার আশা বাংলা রনজি চ্যাম্পিয়ন হবে।” 

[আরও পড়ুন: ‘রনজি ফাইনাল নিয়ে আমার আগ্রহ নেই’, কেন এমন বললেন বাংলায় ব্রাত্য ঋদ্ধিমান?]

বাংলার ক্রিকেট নতুন উদ্যম নিয়ে নামবে লক্ষ্মীবারের সকালে। সেখানে এদিনই বঙ্গ-ফুটবলের অভিযান শেষ হয়ে গেল। বহুযুদ্ধের সৈনিক বিশ্বজিৎ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলছেন, ”দুঃখজনক তো বটেই। আমার থেকেও বেশি দুঃখ পেয়েছে ছেলেরা। অতীতে বাংলার হয়ে খেলার সময়ে জয়ের পাশাপাশি হারের স্বাদও পেয়েছি। ফলে এই দুঃখ আমি জানি। কিন্তু ছেলেরা একটা আশায় ছিল। মণিপুরের কাছে হেরে যাওয়ায় সেই আশা শেষ হয়ে গেল বলে দেওয়াই যায়।”  রেলওয়েজ এবং মেঘালয়ের সঙ্গে আরও দুটো ম্যাচ বাকি বাংলার। কিন্তু সেই দুটো ম্যাচ নিয়মরক্ষার।  

Advertisement

অথচ এই বাংলা দলই আগের পর্বে অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটিয়েছিল। মূলপর্বে এসে কঙ্কাল বেরিয়ে পড়ল। আগের ম্যাচেই সার্ভিসেসের কাছে হার মেনেছিল বাংলা। এদিন মণিপুরের বিরুদ্ধে জিতলে ভেসে থাকত দল। বিশ্বজিৎ বলছেন, ”তৃতীয় গোলটা সেমসাইড হয়ে যাওয়ায় ম্যাচ থেকে হারিয়ে গেলাম। তখন আমরা খেলায় ফেরার চেষ্টা করছিলাম। আক্রমণ করছিলাম প্রতিপক্ষের বক্সে। কিন্তু তৃতীয় গোলটা ওভাবে হয়ে যাওয়ায় ম্যাচটাই শেষ হয়ে গেল।” 

দলের হারের জন্য বিশ্বজিৎ নিজের স্ট্র্যাটেজিকে দুষছেন। বলছেন, ”ছেলেরা এভাবে ফ্লপ করবে বুঝতে পারিনি। আমি ওদের বেশ কয়েকদিন ধরে প্র্যাকটিস করাচ্ছি। দোষটা আমারই।” নিজেকে দোষী সাব্যস্ত করে সান্ত্বনা খোঁজার চেষ্টা করলেও কথার মাঝে ভিতরের হতাশা বেরিয়ে আসছে। চার গোল হজম করা মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না। বিশ্বজিৎ বলছেন, ”বাংলার জার্সি পরে চার গোল খাওয়ার কী যুক্তি? তাহলে তো অন্য জার্সি পরে নামলেই হয়।” বিশ্বজিৎ ক্ষুব্ধ, একই সঙ্গে হতাশ।

 

[আরও পড়ুন: পূজারার জন্য শাহরুখ যখন ‘দিলওয়ালে’!]

 

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement