Advertisement
Advertisement
East Bengal

নাড়িনক্ষত্র জানেন প্রাক্তনী অস্কার, ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল কোচই ভাবাচ্ছে বসুন্ধরার অধিনায়ক তপুকে

ইস্টবেঙ্গলের 'অফ ফর্ম'-এ কি বাড়তি সুবিধা পাবে? কী বলছেন বসুন্ধরা কিংসের ডিফেন্ডার?

Bashundhara Kings Captain Topu Barman Opens up before East Bengal clash in AFC Challenge League
Published by: Arpan Das
  • Posted:October 28, 2024 4:29 pm
  • Updated:October 28, 2024 4:29 pm  

অর্পণ দাস: আট ম্যাচ পরে এসে অবশেষে হারের মুখোমুখি হতে হয়নি। কিন্তু এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে বিপদ এখনও কাটেনি ইস্টবেঙ্গলের। ভুটানের মাটিতে পারোর সঙ্গে ড্র করে জুটেছে ১ পয়েন্ট। পরের রাউন্ডে যেতে সেটা একেবারেই যথেষ্ট নয়। তাই সামনের বাকি দুটো ম্যাচ ‘ডু অর ডাই’ লাল-হলুদ বাহিনীর কাছে। অন্যদিকে বসুন্ধরা কিংসও প্রথম ম্যাচ হেরেছে। বাংলাদেশের এই দলে গত মরশুমে ‘হেড স্যর’ ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান কোচ অস্কার ব্রুজো। মহারণের আগে কী ভাবছে বসুন্ধরা কিংস? সে বিষয়ে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে মুখ খুললেন বাংলাদেশের ক্লাবের অধিনায়ক তপু বর্মণ।

পারোর সঙ্গে পিছিয়ে পড়েও ড্র করেছে ইস্টবেঙ্গল। ক্লেটনরা এই মুহূর্তে গ্রুপ টেবিলে আছে দ্বিতীয় স্থানে। এর আগে আইএসএলে টানা ৬ ম্যাচ হারতে হয়েছে। যার মধ্যে ছিল সম্মানের ডার্বিও। ভুটান থেকে সেই ব্যর্থতা কাটিয়ে ফিরতে চাইবে ইস্টবেঙ্গল। সেখানে আত্মঘাতী গোলে নেজমেহর কাছে হেরেছে বসুন্ধরা কিংস। এই গ্রুপ থেকে একটি দল যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। বাকি তিনটি দল মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পাওয়া দ্বিতীয় টিম যাবে পরের রাউন্ডে। ফলে এই ম্যাচ জিততে মরিয়া থাকবে ইস্টবেঙ্গল ও বসুন্ধরা কিংস, দুদলই।

Advertisement

বসুন্ধরার ডিফেন্ডার তপুর মুখেও শোনা গেল সেই কথাই। তিনি বললেন, “পরের ম্যাচ ডু অর ডাই। আমাদের জন্য, ইস্টবেঙ্গলের জন্যও। পরের রাউন্ডে যাওয়ার জন্য এই ম্যাচটা দুটো দলের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই ইস্টবেঙ্গল যেমন সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবে, তেমনই আমরাও নিজেদের উজাড় করে দেব।”

সেখানে কি বড় ফ্যাক্টর হয়ে দেখা দেবেন অস্কার? ২০১৮ থেকে বাংলাদেশের এই দলের কোচ ছিলেন। কার্লেস কুয়াদ্রাত বিদায়ের পর লাল-হলুদের দায়িত্ব উঠেছে তাঁর কাঁধে। এই দলটাকে যে অস্কার হাতের তালুর মতো চেনেন, সেকথা বলাই বাহুল্য। সেটা স্বীকার করে নিচ্ছেন তপুও। তিনি জানালেন, “অস্কার ব্রুজো বসুন্ধরা কিংসে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। গতবছর তাঁর অধীনে খেলা অধিকাংশ প্লেয়ারই এই দলে আছি। উনি সবাইকে ভালোমতো চেনেন। কে কীরকম খেলতে পারে, সেটাও উনি জানেন। সেটার একটা বাড়তি সুবিধা পাবেন অস্কার।”

কিন্তু আইএসএলে তো জয়ের মুখ দেখেননি তিনি। ইস্টবেঙ্গলও হারের আঁধারে। সেটা মাথায় রেখেও তপু সাবধানী। বললেন, “ইস্টবেঙ্গল বড় ক্লাব। সেটা সম্বন্ধে আমরাও সচেতন। অফ ফর্ম যেতেই পারে, সেটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। বিশ্বের বহু ক্লাবের সঙ্গেই সেটা হয়। কিন্তু ওদের প্লেয়াররা খুবই ভালো। সেটা ভারতীয় বলুন বা বিদেশি ফুটবলার। তাঁরা যে কোনও পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।”

খাতায়-কলমে কথাটা ঠিকই। দিয়ামান্তোকোস, মাদিহ তালালরা জ্বলে উঠলে বিপাকে পড়তে পারে বসুন্ধরা। জোনাথান, মোর্সালিনদের আটকানোর জন্য তৈরি থাকবেন আনোয়াররাও। তাদের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত বসুন্ধরা। তপু বললেন, “আমরা বিপক্ষের ফর্ম নিয়ে ভাবছি না। শুধু এটুকুই বলতে পারি, আমরা তৈরি। আমরাও জানি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে কীভাবে খেলতে হবে। অধিনায়ক হিসেবে শুধু এটুকুই বলতে পারি, আমাদের সব প্লেয়ার এই ম্যাচে ১০০ শতাংশর বেশি দেওয়ার চেষ্টা করবে। সেটা করতে পারলে কিন্তু ম্যাচ থেকে ইতিবাচক ফল পাব।”

‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে অস্কারের জাদুমন্ত্রেই কি জয় পাবে ইস্টবেঙ্গল? বসুন্ধরারও তো ধারণা আছে, ইস্টবেঙ্গল কোচ কীভাবে মগজাস্ত্র চালান। তপু কিন্তু হুংকার দিয়ে রাখলেন, “আমি আমার দেশের জন্য আর ক্লাবের জন্য সব করতে পারি।” তাঁকে টপকেই জয়ের সরণিতে ফিরতে হবে লাল-হলুদকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement