ইস্টবেঙ্গল- ১ (ক্রোমা)
পাঞ্জাব এফসি- ১ (খোসলা)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচের আগে একটাই প্রশ্ন ঘুরছিল ময়দানে। আজ মাঠে লোক হবে তো? ক্লাবের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াবেন, এটাই এতদিন দেখে এসেছে ফুটবলের শহর কলকাতা। তবে বৃহস্পতিবার মাঠে এলেন সমর্থকরা। দলের জন্য গলাও ফাটালেন। কিন্তু তাও জিততে পারল না ইস্টবেঙ্গল। ঘরের মাঠে এগিয়ে থেকেও পাঞ্জাবের সঙ্গে ড্র করল লাল-হলুদ শিবির। ক্রোমার বিশ্বমানের গোলও কাঙ্খিত জয় এনে দিতে পারল না দলকে। শতবর্ষে খারাপ ফর্ম অব্যাহত ইস্টবেঙ্গলের।
একটা জয় চাই স্রেফ। তাহলেই দলের ভোল পালটে যাবে। এই আশাতেই ছিলেন নয়া কোচ মারিও। ফুটবলাররাও মরিয়া ছিলেন একটা জয়ের জন্য। সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে কোনও কসুর রাখেনি ইস্টবেঙ্গল। হারতে হারতে আই লিগের তলানিতে এসে ঠেকেছে দল। শতবর্ষে লজ্জার সীমা ছাড়িয়েছে। সমর্থকরাও মুখ ফেরাচ্ছেন। ক্লাবকর্তা-স্পনসর দ্বন্দ্ব তুঙ্গে। গোদের উপর বিষফোড়ার মতো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের বিজয়দৌড় অব্যাহত। বৃহস্পতিবার কল্যাণীতে পাঞ্জাবের সঙ্গে জয় ছাড়া তাই কিছুই ভাবছিল না ইস্টবেঙ্গল। যে দল খোঁচা খাওয়া বাঘের মতো বরাবর খাদের ধার থেকে ফিরে এসেছে, সেই দলের কাছে এটুকু প্রত্যাশিতই। কিন্তু কিছুতেই জয় পাচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই বিশ্বমানের গোল করেন ক্রোমা। লাল-হলুদ শিবিরে ফের নাম লেখানোর পর প্রথম গোল লাইবেরিয়ানের। সমালোচকদের যেন জবাব ছিল এই গোল। কিন্তু ওইটুকুই। প্রথমার্ধেই গোলশোধ করে দেয় পাঞ্জাব। একটা সময় পিছিয়ে থেকেও খেলায় বহুবার ফিরে এসেছে ইস্টবেঙ্গল। এখন পরিস্থিতি পালটেছে। এখন এগিয়ে থেকেও লিড ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে মশালবাহিনী। এদিন হলও তাই। জঘন্য ডিফেন্সের খেসারত দিয়ে গোল হজম করে ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই প্রচুর চেষ্টা করেছে ব্যবধান বাড়ানোর। যদিও তা হয়নি। ১-১ ফলেই শেষ হয় খেলা। দুঃসময় যেন কাটছেই না ইস্টবেঙ্গলের। শতবর্ষে আই লিগ অবনমনের আশঙ্কা এবং পাশের ক্লাবের লিগ জয়ের হাতছানি যেন আরও যন্ত্রণা বাড়িয়েছে। এদিন দলের ঘুরে দাঁড়ানো দেখার ইচ্ছাতেই গ্যালারি ভরিয়েছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। কিন্তু একরাশ হতাশা নিয়েই বাড়ি ফিরলেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.