স্টাফ রিপোর্টার: ম্যাচের একদিন আগে বলেই কার্শির মূল স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সুযোগ পেলেন এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) ফুটবলাররা। এদিন বিকেলে মূল স্টেডিয়ামে দলবল নিয়ে হাবাস যখন অনুশীলন করতে ঢুকলেন, তখনও বেশ ঠান্ডা হাওয়া বইছে। পাছে প্রতিপক্ষ দল কোনওভাবে হাবাসের দলের পরিকল্পনা জেনে নেন, তাই এদিন অনুশীলনে খুব বেশি নিজেদের মেলে ধরলেন না হাবাস। মূলত শারীরিক অনুশীলনের পর কিছুটা বল নিয়ে অনুশীলন। যাতে ম্যাচের আগেই মাঠের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যায়।
The #Mariners have been putting in the hard yards in Kolkata 🇮🇳, Dubai 🇦🇪 & Karshi 🇺🇿!
Tonight, they take the field for what could be a historic night in #IndianFootball!
Come on boys! 💚❤️#JoyMohunBagan 💪#ATKMohunBagan #MarinersInAsia #IndianFootball pic.twitter.com/0SzM4kfpTP
— ATK Mohun Bagan FC (@atkmohunbaganfc) September 22, 2021
এফসি নাসাফের (Nasaf FC) বিরুদ্ধে খেলার আগে দুবাইয়ে আটদিনের পাশাপাশি উজবেকিস্তানে এসে আরও দু’দিন অনুশীলন করার সুযোগ পেলেন রয় কৃষ্ণরা (Roy Krishna)। তবুও বুধবার ভারতীয় সময় রাত সাড়ে আটটায় নাসাফের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে নিজেদের নিয়ে আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করতে রাজি নন হাবাস। শুধু বললেন, “বিশ্বের কোনও কোচই ম্যাচ শুরুর আগে গ্যারান্টি দিয়ে বলে দিতে পারেন না, ম্যাচটা জিতবেনই। বুধবারের ম্যাচ নিয়ে আমরা শুধু আমাদের প্রস্তুতির কথা বলতে পারি। এটা ঠিক যে, নাসাফ ম্যাচকে লক্ষ্য রেখে দুবাইয়ে আমাদের দারুণ প্রস্তুতি হয়েছে। ফলে ওদের মাঠে খেলা হলেও, নাসাফকে হারানোর মতো শক্তি আমাদের আছে।”
সেটপিস কিংবা অন্য কোনও মুভমেন্ট অনুশীলন, যা দুবাইয়ে তিনি রয় কৃষ্ণদের দিয়ে করিয়েছেন, কার্শির অনুশীলনে এসব কিছুই করলেন না তিনি। বরং মাঠের থেকেও হাবাস বেশি জোর দিলেন হোটেলের ক্লাসরুমে। আর সেখানেই প্রতিপক্ষ এফসি নাসাফকে কাটাছেঁড়া করার পর প্রতিপক্ষ নিয়ে হাবাসের ব্যাখ্যা হল, “প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে এফসি নাসাফ সব সময় ভাল ফল করে। পুরো দলটাই বেশ শক্তিশালী। দলে এমন কিছু ফুটবলার রয়েছে, যারা নিমেষে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে।” আগেরদিনই দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার প্রীতম কোটাল বলেছিলেন, উইং দিয়ে আক্রমণের ব্যাপারে জোর দেয় এফসি নাসাফ। বুধবারের ম্যাচে এটিকে মোহনবাগানও (ATK Mohun Bagan) কি সেরকম কিছু করবে? হাবাস বললেন, “শুধুই উইং প্লে দিয়ে আক্রমণ করব না। প্রতিপক্ষর ডিফেন্সে যেখানে ফাঁকা পাব, সেখান থেকেই আক্রমণ করে চেষ্টা করব, গোলের মুখ খুলে ফেলতে।”
বুধবারের ম্যাচ ঘিরে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মধ্যে মারাত্মক আগ্রহ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এর একটাই কারণ, ইন্টার জোন সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ এফসি নাসাফ ভীষণই শক্তিশালী দল। হাবাস তাই সবুজ—মেরুন সমর্থকদের আশ্বস্ত করার জন্য এদিন বলেন, “সমর্থকরা এটুকু নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন, আমরা নিজেদের একশো শতাংশ উজাড় করে দেব। চেষ্টা করব, নিজেদের অনুকূলে ফল নিয়ে আসার।’’
এর আগে এটিকে মোহনবাগান যখন মালদ্বীপে এএফসি কাপের (AFC Cup) গ্রুপ লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়, তখন প্রবীর দাস, সুসাইরাজরা দলে ছিলেন না। এদের সঙ্গে এবার দলে রয়েছেন সদ্য ইউরো খেলে আসা কাউকোও। ফলে এফসি নাসাফ শক্তিশালী হলেও, এটিকে মোহনবাগানও মালদ্বীপের থেকে এখানে আরও বেশি শক্তি নিয়ে খেলতে নামছে। এটিকে মোহনবাগান কোচ হাবাস বললেন, “কাউকো খুবই বড় মাপের ফুটবলার। খুব কম সময়ের মধ্যে দলের সঙ্গে মানিয়েও নিয়েছে। প্রবীর আর সুসাইরাজও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। তবে এই দু’জনই বহুদিন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচের মধ্যে নেই। তাই ওদের দু’জনকে কতক্ষণ মাঠে রাখতে পারব জানি না। তাই প্রথম একাদশ ঠিক করার আগে সব দিক মাথায় রাখতে হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.