দুলাল দে: শুধু AFC কাপে খেলাই নয়। AFC কাপের যে গ্রুপে এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) রয়েছে, অর্থাৎ সেই গ্রুপ ‘ডি’র সব খেলাই কলকাতায় করার জন্য এএফসিতে ‘বিড’ করতে চলেছে এটিকে মোহনবাগান। একই ভাবে চ্যাম্পিয়ন্সলিগের খেলা গোয়াতে করার জন্য বিড করার পরিকল্পনা নিয়েছে এফসি গোয়া। বেঙ্গালুরু এফসিও চাইছে এএফসিকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডের খেলা বেঙ্গালুরুতেই করতে। কিন্তু বাংলার ফুটবলপ্রেমী মানুষের জন্য অবশ্যই আগ্রহের বিষয় এটিকে মোহনবাগানের এএফসি কাপের সব ম্যাচ কলকাতায় খেলা। যদিও বিড করার পর এটিকে মোহনবাগান এএফসি কাপে গ্রুপ ‘ডি’র আয়োজক হতে পারবে কি না, তা পুরোটাই নির্ভর করছে এএফসির উপর।
করোনা আবহাওয়ায় এএফসি কাপে দলগুলিকে হোম-অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেলিয়ে কোনোওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না এএফসি। এফএসডিএল যেভাবে একটি ভেনুতে ১১ টি দলকে একসঙ্গে নিয়ে ISL-এর আয়োজন করেছে, করোনার প্রকোপ থেকে ফুটবলারদের রক্ষা করার জন্য এফএসডিএলের এই মডেল সর্বত্র প্রশংসিত। কিছুদিন আগে গত মরশুমের এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বাকি খেলাগুলো একটি ভেনু হিসেবে শুধু কাতারেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফলে এই মরশুমের এএফসি কাপের খেলা শুরুর আগেই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে, যাই হবে পুরোটাই ‘সেন্ট্রালাইজড’ করা হবে। সেই সূত্রেই এটিকে মোহনবাগান ঠিক করেছে, গ্রুপের ম্যাচগুলি কলকাতায় যুবভারতীতে করার জন্য বিড করা হবে।
এএফসি কাপে ‘সাউথ জোনে’ গ্রুপ ‘ডি’-তে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান, বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস এবং মালদ্বীপের মাজিয়া এফসি। এর সঙ্গে খেলতে হবে প্লে-অফ রাউন্ডের উইনারের সঙ্গে। বেঙ্গালুরু এফসিকে কোযালিফাইং রাউন্ড খেলতে হলেও এটিকে মোহনবাগান খেলবে সরাসরি এএফসি কাপে। যদিও গ্রুপে বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপের দল থাকায় এটিকে মোহনবাগান কর্তারা আশাবাদী, পরের রাউন্ডে যেতে খুব একটা অসুবিধা হবে না। আর এবার যেহেতু এএফসি কাপে খেলার সুযোগ পাওয়া গিয়েছে, তাই পুরো সবুজ-মেরুন শিবির প্রচণ্ডভাবে সিরিয়াস হয়ে উঠেছে এএফসি কাপ নিয়ে।
আপাতত ঠিক হয়েছে, বিড পেপারে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনকেই এএফসি কাপের ভেনু হিসেবে দেখানো হবে। সেক্ষেত্রে নবরূপে সজ্জিত কিশোরভারতী স্টেডিয়ামকে প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড হিসেবে দেখানো হবে। আপাতত আইএসএলে যেভাবে ছুটছে হাবাসের দল, তাতে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মতো কর্তারাও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। আর তারপরেই শহরে এএফসি কাপের পুরো গ্রুপের খেলার আয়োজন করলে তা অন্য মাত্রা যোগ করতে পারে। সেই কারণেই এএফসি কাপের ম্যাচ আয়োজনের বিড করার জন্য উদ্যোগী হয়ে উঠেছেন কর্তারা।
বিডে জিতে কলকাতায় এএফসি কাপের ম্যাচ আয়োজন করতে পারলেও স্টেডিয়ামে দর্শকদের প্রবেশের জন্য সেই তাকিয়ে থাকতে হবে এএফসির দিকেই। তবে করোনার প্রকোপ থেকে ফুটবলারদের রক্ষা করার জন্যই যেহেতু এক একটি গ্রুপকে সেন্ট্রালাইজড করার ভাবনা, তাই মাঠে দর্শক প্রবেশ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তবে মাচ আয়োজনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হতে পারে বাংলায় নির্বাচন। এএফসিতে সবুজ-মেরুনের খেলা পড়বে মে’তে। যদি সেই সময় বাংলায় নির্বাচন জনিত কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে ম্যাচ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বিড করার আগে এই দিকটাও ভেবে দেখছেন সবুজ-মেরুন কর্তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.