সুলয়া সিংহ ও শুভময় মণ্ডল: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি বিরোধিতার আঁচ এবার ডার্বি ম্যাচেও। যুবভারতীতে বছরের প্রথম ডার্বিতে স্টেডিয়ামের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা গেল সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী ব্যানার। স্টেডিয়ামের ভিতরে বেশ কয়েকটি বড় বড় ব্যানার চোখে পড়েছে। যাতে কোথাও সরাসরি, কোথাও পরোক্ষে লেখা এনআরসি বিরোধী বার্তা।
সংশোধিত নাগরকিত্ব আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই বিরোধীরা দেশজুড়ে নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ করছে। কেউ কেউ প্রতিবাদে অভিনবত্বও এনেছে। দিন কয়েক আগেই ওয়াংখেড়েতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এমনই প্রতিবাদ চোখে পড়েছিল। একঝাঁক পড়ুয়া হাজির হয়েছিলেন নো-এনআরসি, নো এনপিআর, নো সিএএ লেখা টি-শার্ট পরে। এই টি-শার্ট পরেই তাঁরা ‘ইন্ডিয়া-ইন্ডিয়া’ স্লোগানও দেন স্টেডিয়ামে। এদিনও এনআরসি বিরোধিতায় অভিনবত্ব আনলেন ফুটবল সমর্থকরা। ইস্টবেঙ্গলের গ্যালারিতে এমনিতে অন্য ডার্বির তুলনায় এদিন সমর্থকের সংখ্যাটা কম ছিল। আর মূলত এই গ্যালারিতেই দেখা গেল এনআরসি বিরোধী যাবতীয় পোস্টার-ব্যানার। কোথাও লেখা, “পলাশীর প্রান্তরে সূর্যাস্তের পর চোখে চোখ রেখে লড়াই শিখিয়েছি আমরাই”, আবার কোথাও লেখা “রক্ত দিয়ে কেনা মাটি, কাগজ দিয়ে নয়।” কোথাও আবার স্পষ্ট ‘No NRC- No NPR-No CAA’ লেখা ব্যানার নিয়ে হাজির ফুটবল সমর্থকরা।
ডার্বির মাঠে এর আগে কোনও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে এভাবে প্রতিবাদ আগে দেখা গিয়েছে কিনা, তা মনে করতে পারছেন না প্রাচীন ফুটবল সমর্থকরাও। তাই এবারের ডার্বিতে এনআরসি বিরোধী এই বিক্ষোভ একপ্রকার বেনজির। এদিকে, এসবের মাঝে প্রথমার্ধে ঝঁকঝঁকে ফুটবল উপহার দিয়েছে দুই দলই। বিশেষ করে মোহনবাগান প্রত্যাশিতভাবেই প্রথমার্ধে ছন্দময় এবং আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে। ফলে ১-০ গোলে এগিয়েও রয়েছে সবুজ-মেরুন শিবির। ম্যাচের ১৮ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিয়েছেন বেইতিয়া। শেষদিকে, মোহনবাগানের একটি গোল বাতিল না হলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। তাছাড়া, প্রথমার্ধের একেবারে শেষে বাবা দিওয়ারার শট থেকে দুর্দান্ত সেভ করেন রালটে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.