Advertisement
Advertisement
চুনী গোস্বামী

‘ভারতের সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদ’, প্রয়াত চুনী গোস্বামীর স্মৃতিচারণায় ময়দানের প্রাক্তনরা

এক মাসের ব্যবধানে মাঠ ছাড়লেন দুই কিংবদন্তি।

All time Best sportsperson, Eminent Footballers remembers Chuni Goswami
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:April 30, 2020 7:43 pm
  • Updated:April 30, 2020 7:43 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমে পিকে। তারপর চুনী। সত্যি ২০২০ সালটা বড় নিষ্ঠুর। একে একে ক্রীড়াজগতের উজ্জ্বল তারা খসিয়ে দিয়ে চলেছে। এক মাসের ব্যবধানে মাঠ ছাড়লেন দুই কিংবদন্তি। আর কত খারাপ খবর পেতে হবে, প্রশ্ন করছে বাংলার ক্রীড়ামহল। মধ্য বৈশাখের এক বিকেলে কিংবদন্তী চুনী গোস্বামীর এভাবে চলে যাওয়াটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে ময়দানি প্রাক্তনীদের। সুব্রত ভট্টাচার্য থেকে সুভাষ ভৌমিক, সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শ্যাম থাপা। প্রত্যেকেই ভারাক্রান্ত। তবুও মোহনবাগান রত্নের প্রয়াণে স্মৃতির সাগরে ডুব দিলেন তারকারা।

যেমন সুব্রত ভট্টাচার্য স্মৃতিচারণায় তুলে ধরলেন মোহনবাগানের দিনগুলির কথা। কীভাবে খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করতেন সে কথা বললেন। এমন বড় মাপের ফুটবলার ভারত খুব কমই পেয়েছে। তাঁর আকস্মিক প্রয়াণ মেনে নিতে পারছেন না। সুভাষ ভৌমিকের মতে, ‘ভারতবর্ষের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ ছিলেন চুনীদা। এত ভাল খেলোয়াড়, এত ভাল মানুষ হঠাৎ চলে যাবেন ভাবতে পারছি না।’ প্রাক্তন ক্রিকেটার সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘আমার দেখা বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ ছিলেন চুনীদা। কারণ একজন খেলোয়াড় যিনি ক্রিকেট এবং ফুটবল দুই খেলাতেই বাংলাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমার প্রথম ক্যাপ্টেন ছিলেন মোহনবাগানে। কী করে ভুলি ওনাকে?’

Advertisement

[আরও পড়ুন: এশিয়ান গেমসে সোনা জয় থেকে রনজি ট্রফির ফাইনাল, ফিরে দেখা চুনী গোস্বামী]

প্রাক্তন দুই ফুটবলার শ্যাম থাপা এবং শিশির ঘোষ যেমন স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে ভেঙে পড়লেন। তাঁদের চোখে ভারতের অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদ ছিলেন চুনী গোস্বামী। দীপেন্দু বিশ্বাসও বললেন, ‘ভারতবর্ষের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন চুনী স্যর। তাঁর মৃত্যু ভারতীয় ফুটবলে অপুরণীয় ক্ষতি।’ আদ্যন্ত মোহনবাগানি চুনী গোস্বামীর প্রয়াণে শোকাহত সবুজ-মেরুন শিবিরের সচিব সৃঞ্জয় বোস। তিনি বলেন, ‘ওনার মৃত্যু ভারতীয় ফুটবলে নক্ষত্র পতন। অনেক ছোটবেলা থেকে ক্লাবে যেতাম যখন তখন থেকে ওনার সংস্পর্শে এসেছিলাম। তবে ছোট ছিলাম বলে কখনও দূরে সরিয়ে দেননি। সবসময় আপন করে নিতেন। এটাই ছিল ওনার ইউএসপি।’ রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘বাংলা মা তাঁর এক অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারাল। এ ক্ষতি কোনওদিন পূরণ হবে না। যতদিন বাংলার ফুটবলের নাম থাকবে তিনি অমর হয়ে থাকবেন।’

[আরও পড়ুন: ভারতীয় ফুটবলের আকাশে নক্ষত্র পতন, প্রয়াত কিংবদন্তী চুনী গোস্বামী]

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে পরিজনদের শোকজ্ঞাপনের পর কেওড়াতলা শ্মশানে শেষকৃত্য হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement