Advertisement
Advertisement

Breaking News

ইস্টবেঙ্গল

লাইসেন্সিং পরীক্ষায় বসার জন্য ইস্টবেঙ্গলকে ১০ দিন সময় দিল ফেডারেশন

কোয়েস থেকে এনওসি না পাওয়ায় চাপে লাল-হলুদ কর্তারা।

AIFF gives East Bengal FC 10 days to submit Club Licencing Documents
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:July 15, 2020 2:02 pm
  • Updated:July 15, 2020 2:02 pm  

দুলাল দে: ক্লাব লাইসেন্সিং পরীক্ষায় বসার জন্য ২৩ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়ে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)-সহ আই লিগ, আইএসএলের সব ক্লাবকে চিঠি দিল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (AIFF)। ফলে অন্য ক্লাবগুলোর ক্ষেত্রে চাপের কিছু তৈরি না হলেও, কোয়েস (Quess) থেকে এখনও নো অবজেকশন সার্টিফিকেট না আসায় ফেডারেশনের এই চিঠিতে রীতিমতো চাপে পড়লেন লাল-হলুদ কর্তারা। এর মধ্যেই শুক্রবার ক্লাব তাঁবুতে কার্যকরি কমিটির মিটিং ডাকল ইস্টবেঙ্গল।

ক্লাব লাইসেন্সিং পরীক্ষায় বসার জন্য নিয়ম হল, ফেডারেশনের পাঠানো ফর্ম পূরণ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা ফের ফেডারেশনে পাঠানো হয়। তারপরেই লাইসেন্সিং পরীক্ষায় বসার সুযোগ পায় ক্লাবগুলো। অনেকটা পরীক্ষায় বসার আগে অ্যাডমিট কার্ড পাওয়ার আবেদন করার মতো। ভারতীয় ক্লাবগুলির লাইসেন্সের ক্ষেত্রে কী কী শর্ত থাকবে, তার একটা খসড়া তৈরি করে এএফসির কাছে পাঠিয়েছিল ফেডারেশন। যাবতীয় আইনি দিক খতিয়ে দেখে ফেডারেশনের খসড়া ঠিকঠাক করে মঙ্গলবার বিকেলে ফেডারেশনের কাছে পাঠিয়ে দেয় এএফসি। আর রাতেই তা ক্লাবগুলোর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে এআইএফএফ। জানিয়ে দিয়েছে, দশ দিনের মধ্যে এই ফর্ম পূরণ করে ফেডারেশনের কাছে পাঠাতে হবে। তারপরেই লাইসেন্সিং পরীক্ষায় বসতে পারবে ক্লাবগুলো। যা চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। অন্যান্য ক্লাবগুলোর ক্ষেত্রে ফেডারেশনের এই চিঠি কোনও সমস্যার না হলেও রীতিমতো সমস্যার হয়ে দাঁড়াল ইস্টবেঙ্গলের কাছে। কারণ, কোয়েস থেকে এখনও নো অবজেকশন সার্টিফিকেটটাই তো পায়নি লাল-হলুদ। কোয়েস চেয়ারম্যান অজিত আইজ্যাক (Ajith Isaac) এনওসি দিতে রাজি। কিন্তু বিচ্ছেদের কিছু আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে যা ঠিক করতে বেশ কিছু সময় লেগে যাচ্ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এবছর কি আদৌ আইএসএল খেলতে পারবে ইস্টবেঙ্গল? সংশয়ে ফেডারেশন সচিবও]

শোনা যাচ্ছে, নিজেদের দখলে থাকা ৩০ শতাংশ শেয়ার কোয়েসকে ফেরত দিয়ে স্পোর্টিং রাইটস ফেরত চেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদ কর্তাদের দাবি, ৩০ শতাংশ শেয়ারের বিনিময়ে স্পোর্টিং রাইটস দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এখন সেই ৩০ শতাংশটাও ক্লাব যদি ফিরিয়ে দেয়, তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই স্পোর্টিং রাইটস ফিরে আসবে। কিন্তু এই শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়াতেই সময় লেগে যাচ্ছে। ফেডারেশন কর্তারা অবশ্য কার কাছে কত শেয়ার, কিংবা কে কী ভাবে পুর শেয়ার নিয়ে কোম্পানি বন্ধ করছে, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন। তাঁদের একমাত্র আগ্রহের বিষয় হল, কোয়েস ইস্টবেঙ্গল এফসির থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট ইস্টবেঙ্গল ক্লাব দেখাতে পারছে কি না। দশদিনের মধ্যে এনওসি পেয়ে গেলে লাইসেন্সিং প্রক্রিয়ায় বসতে পারবে নাহলে ফের সমস্যা।

তবে আই লিগে ইস্টবেঙ্গলকে খেলানোর জন্য নিজেরাই উদ্যোগী হতে পারেন ফেডারেশন কর্তারা। লাইসেন্সের সমস্যায় ইস্টবেঙ্গল আই লিগ খেলতে পারবে না, এমনটা কেউই চান না। এমনকি অজিত আইজ্যাক নিজেও তা চান না। তবে আইন মেনে বিচ্ছেদের কাগজ পত্র তৈরি করতে যেটুকু সময় লাগে, তা দিতেই হচ্ছে। ফলে দশ দিনের মধ্যে লাইসেন্সিং পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করার ফর্ম পেতে কিছুটা চাপেই পড়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। এই মুহূর্তে ইনভেস্টর খোঁজা না কোয়েসের থেকে এনওসি পাওয়া কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটাই বুঝতে পারছে না ক্লাব। এদিকে, ১ আগস্ট ক্লাবের ফাউন্ডেশন ডে’ নিয়ে আলোচনার জন্য শুক্রবার ক্লাব তাঁবুতে কার্যকরি কমিটির মিটিং ইস্টবেঙ্গলে। মূলত গ্রাউন্ড সচিবের ঘাড়েই বেশি দায়িত্ব বর্তাবে এবারের মিটিংয়ে। তবে সাম্প্রতিক সমস্যা নিয়েও আলোচনা হতে পারে বিবিধ বিষয়ে।

[আরও পড়ুন: অবশেষে গলল বরফ, লাল-হলুদ সমর্থকদের জন্য স্পোর্টিং রাইটস ছেড়ে দিচ্ছে কোয়েস]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement