সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার ডার্বি দেখবে ১০০ অনাথ শিশু। বড় ম্যাচে এমনই অভিনব উদ্যোগ নিল মোহনবাগান। দক্ষিণ কলকাতা সেবাশ্রম, ক্যালকাটা সোশ্যাল প্রজেক্ট, জাঙ্গেল ক্রোজ- এই তিনটি সংস্থার অনাথরা থাকবে ভিআইপি বক্সে। দেখবে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ। দৃষ্টিহীনরা অনুভব করবে এই ম্যাচ।
ডার্বি মানেই উন্মাদনা। বড় ম্যাচে আবেগে ভাসে বাঙালি। তবে এই বড় ম্যাচ শুধু মাঠের লড়াই। মাঠের বাইরে বেঁচে থাকে শুধুই ফুটবল প্রীতি। সমাজের মূলস্রোতের বাইরে যারা আছে তাদেরকে এবার বড় ম্যাচের প্রধান আকর্ষণ করতে চলেছে সবুজ-মেরুন। এবার ডার্বি হোক একটু অন্যরকম। সেই উদ্দেশ্যেই এই অভিনব উদ্যোগ ক্লাবের। শুক্রবার ক্লাবের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত জানান, এই ১০০ অনাথ শিশুদের জন্য বিশেষ আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসে তাঁদের গিয়ে যাওয়া হবে স্টেডিয়ামে। থাকবে খাবারের ব্যাবস্থাও।
এই অনাথ শিশুদের মধ্যে কেউ বিশেষভাবে সক্ষম। আবার কেউ দৃষ্টিহীন। কিন্তু তাতে কী! ডার্বি তো অনুভবেরও। ৬০ থেকে ৭০ হাজারের যুবভারতীতে বসে ইস্টবেঙ্গবল ও মোহনবাগানের ম্যাচ দেখবে তারাও। সাক্ষী থাকবে এশিয়ার বৃহত্তম ডার্বির। মোহনবাগান কর্তাদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করছে ফুটবলমহল।
উল্লেখ্য, ছোটদের ডার্বি নিয়ে উত্তাল হয়েছিল ময়দান। আহত হয়েছিলেন একাধিক ফুটবল সমর্থক এবং সাংবাদিকও। তারপর থেকে বড়দের ডার্বি শান্তিপূর্ণ করার স্লোগান তোলেন দুই ক্লাবের সদস্য-সমর্থকরা। মাঠের লড়াই যাতে কোনওভাবেই মাঠের বাইরে আগুন হয়ে না ঝলসে ওঠে, সে প্রতিজ্ঞাই করেছিলেন প্রত্যেকে। যা চূড়ান্তভাবে সফল হয়। যুবভারতীতে এবারের আই লিগ মরশুমের প্রথম ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হারে মোহনবাগান। কিন্তু মাঠের বাইরে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। শৃঙ্খলা বজায় রেখেই শেষ হয়েছিল সে ম্যাচ। এবারও সমর্থকদের আশা, ফল যাই হোক না কেন, ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় থাকবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.