Advertisement
Advertisement

পরাজয়েও মন জয় মদ্রিচের, সোনালি ট্রফি না এলেও হাতে এল সোনার বল

জেনে নিন আর কে কোন পুরস্কার পেলেন।

Football world Cup golden ball won by Modrich
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 15, 2018 11:18 pm
  • Updated:July 15, 2018 11:41 pm  

 সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকাপ শেষ। অঘটনের বিশ্বকাপে তলিয়ে গিয়েছেন অনেক নামী তারকা, উঠে এল অনেক নতুন নাম। স্বাভাবিকভাবেই পুরস্কারের তালিকাতেও নতুনদেরই রমরমা।

সোনার বল (লুকা মদ্রিচ):

Advertisement

বিশ্বকাপের ট্র্যাজিক নায়ক হিসেবেই থেকে গেলেন ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক লুকা মদ্রিচ। ৪২ লক্ষ ক্রোটরা যাঁকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি ফাইনালে দলকে জেতাতে না পারলেও, রাশিয়া বিশ্বকাপ মনে রাখবে এই এলএম টেনকে। কার্যত একার হাতে রক্ষণ থেকে আক্রমণ সব সামলে ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে তোলার কৃতিত্বও তো নেহাত কম নয়। তাছাড়া আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে তাঁর বিশ্বমানের গোলটিও ভোলার নয়। বিশ্বকাপের পরিসংখ্যান বলছে মদ্রিচ গোল করেছেন দুটি। তাঁর নামে অ্যাসিস্ট রয়েছে আরও একটি। কিন্তু খালি পরিসংখ্যানে হয়তো বোঝা যাবে না বিশ্বকাপে ক্রোটদের স্বপ্নের দৌড়ের পিছনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল মদ্রিচের ভূমিকা।

ইয়ং প্লেয়ার অব দ্যা ইয়ার (কিলিয়ান এমবাপে): বিশ্বকাপের আবিষ্কার ফ্রান্সের ১৯ বছরের তরুণ। তারুণ্যের দীপ্তি, দুর্দান্ত ড্রিবল, নিখুঁত পাসিং আর সর্বোপরি গতি। কিলিয়ান এমবাপে যেন পারফেক্ট প্যাকেজ। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই একের পর এক রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন, বলা ভাল গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। ফুটবল দুনিয়া যা মেসি, রোনাল্ডো বা নেইমারদের পা থেকে দেখার প্রত্যাশায় ছিল, সেসব নৈপুণ্য যেন একাই দেখিয়ে দিলেন ১৯ বছরের ছেলেটি। গ্রুপ পর্বে খুব একটা নজর না কাড়লেও প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে জয়ের ম্যাচে প্রথম নায়কের ভূমিকায় উঠে আসেন ১৯ বছরের তারকা স্ট্রাইকার। তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রি কোয়ার্টারের পর তাঁর সেই ট্রেডমার্ক স্প্রিন্ট দিয়েই ফিফার সেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার দখল করে নিলেন এমবাপে।

[  খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে হাতে বিশ্বকাপ, ফুটবল ইতিহাসে বিরল কৃতিত্ব দেশঁর ]

গোল্ডেন বুট(হ্যারি কেন): ইংল্যান্ড সমর্থকেরা অবশেষে বলতে পারবেন, ‘ইট ইজ কামিং হোম’। কারণ বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে না গেলেও অন্তত একটি পুরস্কার ঘরে তুলছেন থ্রি-লায়ন্স অধিনায়ক হ্যারি কেন। রাশিয়ার মাটিতে মোট ৬টা গোল করে এবারের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পকেটে পুরলেন হ্যারি। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করলেন বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকু। কেন যে ছটি গোল করেছেন তাঁর মধ্যে ৩টি গোল তিনি করেন পেনাল্টি স্পট থেকে। আর একটি গোল অন্যের শট তাঁর পায়ে লেগে বিপক্ষের জালে জড়িয়ে যায়। তাই ফুটবলপ্রেমীদের অনেকেই ইংল্যান্ড অধিনায়কের সোনার বুট জেতাটা মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না।

গোল্ডেন গ্লাবস(থিবাউ কুর্তোয়া):   বিশ্বকাপ তারকা চেনায়। নুয়্যার, দে হেয়াদের মতো নামী গোলকিপারদের ভিড়ে বেলজিয়ামের কুর্তোয়ার সেরার শিরোপা জয় তারই প্রমাণ। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে ইডেন হ্যাজার্ডের দেশ। কিন্তু হ্যাজার্ড, লুকাকু, ডি ব্রুইনদের ভিড়ে নিঃশব্দে নিজের কাজ করে গিয়েছেন বেলজিয়াম দুর্গের সর্বশেষ প্রহরী। বিশেষ করে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে তাঁর অনবদ্য পারফরম্যন্স কিছুতেই ভোলার নয়। বিশ্বকাপের ৭ ম্যাচের মধ্যে চারটিতে ক্লিন শিট রেখেছিলেন কুর্তোয়া। টুর্নামেন্টে মোট ২৭ টি অনবদ্য সেভ করে সোনালি দস্তানা মুষ্ঠিবদ্ধ করে ফেললেন তিনি।

[  ফাইনালে ট্র্যাজিক হিরো, আত্মঘাতী গোল করে দুঃস্বপ্নের রেকর্ড মান্ডজুকিচের ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement