সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত,পাকিস্তান এবং রাশিয়া- কূটনৈতিক ক্ষেত্রে তিন দেশকে এক সারিতে বসাতে বিস্তর সমীকরণ, অঙ্ক কষতে হবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের৷ তাতেও সরলরেখা মিলবে কি না, সন্দেহ৷ কিন্তু মাঝে ফুটবল আসতেই উধাও কাঁটাতার৷ রাশিয়ার মাটিতেই এক হল ভারত-পাকিস্তান৷ পাশাপাশি থাকল দুই দেশের পতাকা৷ তবে সে পতাকার পরিচিতি ছাপিয়েও দুই তরুণ-তরুণীর পরিচয় হয়ে থাকল নিখাদ ফুটবলপ্রেমী৷
[ এ কেমন স্বাদ! রাশিয়ার বিয়ারে মন মজল না বাঙালিদের ]
বিশ্বকাপের জ্বর আর জের মাসখানেক আচ্ছন্ন করে রেখেছে গোটা দুনিয়াকে৷ যাঁদের দেশ খেলার সুযোগ পেয়েছে তাঁদের তো কথাই নেই৷ কেউ মস্কো গিয়ে সমর্থন করছেন৷ কেউ আবার ঘরে বসেই টেলিভিশনের পর্দায় তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন এই মৌতাত৷ সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপছে আবেগ-উত্তেজনায়৷ আর যে দেশ এখনও অংশগ্রহণ থেকে বহুদূরে, সে দেশের নাগরিকরাও এই উন্মাদনার আঁচ পোহাচ্ছেন ঘরে বসেই৷ যেখানে ফুল ফোটাচ্ছে ফুটবল-শিল্প, সেখানে আর দেশের কাঁটাতার কোনও বাধা নয়৷ মনে মাতন লাগলে কিবা কূটনীতি আর কিইবা ব্যবধান! সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে সেরকম কিছু সম্প্রীতির ছবি৷ যেখানে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের নাগরিকও একই অনুভবে জারিত৷ আর তাই পাশাপাশি দাঁড়াতে কোনও দ্বিধা নেই৷
এমনিতে দুই দেশের মুখ দেখাদেখি নেই বললেই চলে৷ ভারত-পাকিস্তান বললে যত না সম্প্রীতি, তার থেকেও বেশি ভেসে ওঠে যুদ্ধের ছবি৷ এই সংঘর্ষবিরতি তো এই কূটনৈতিক হুমকি৷ এই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী একসঙ্গে দেখা করছেন তো এই এর ঔদ্ধত্য-আগ্রাসন নিয়ে একে অপরকে তুলোধোনা করছে৷ এই পরিস্থিতি চলছে তো চলছেই৷ তার মধ্যেই ফুটবল এনে দিল অদ্ভুত সহাবস্থান৷ সম্প্রতি এমনই এক ছবি পোস্ট করেছেন সাংবাদিক অনিশা দত্ত৷ রাশিয়াতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছে এক পাক নাগরিকের৷ দুজনেই নিখাদ ফুটবলপ্রেমী৷ সাংবাদিকটি তাঁকে শুনিয়েছেন তাঁর ঠাকুমার গল্প৷ যিনি লাহোর থেকে ভারতে এসেছিলেন৷ অন্যদিকে পাক নাগরিকও জানিয়েছেন, তাঁর ঠাকুমাও এসেছেন লখনউ থেকে৷ সেই কবে ব়্যাডক্লিফের খড়ির দাগ যে বিভাজনের সূচনা করেছিল, আজও সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাই-ই চলছে৷ তবু এই নাগরিকরা দেখাচ্ছেন, সদিচ্ছা থাকলেই সম্প্রীতি সম্ভব৷ শুধু কূটনৈতিক ক্ষেত্রে যদি তা সম্ভব হত!
I told him my grandma’s from Lahore, he told me his grandma’s from Lucknow. Both proceeded to have a celebratory shot of the finest vodka there is and off we went with our lives.
If only foreign policy was decided this way.
Fucking love football ❤ #IndPak #FifaWorldCup2018 pic.twitter.com/Dne6OR1rpi— Anisha Dutta (@A2D2_) July 7, 2018
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.