সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এটাও দেখা বাকি ছিল। একে তো বিশ্বকাপের গ্রুপ লিগ থেকে বিদায়ের পর জার্মান ফুটবলারদের কাঁধ ঝুলে যাওয়ার মতো অবস্থা। জার্মান মিডিয়াও ‘জাতীয় বিপর্যয়’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব দলের থেকে ছিটকে যাওয়াকে। তার উপর হঠাৎই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইপ এরডোগান এমন একটা কাজ করে বসলেন, যাতে মাথা কাটা যাওয়ার অবস্থা মেসুট ওজিল এবং ইকাই গুনদোগানের। দুই জার্মান তারকারই জন্মসূত্রে তুর্কি-যোগ আছে। সম্ভবত সেটা মাথায় রেখেই বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে দুই তারকা দেখা করেন তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। ‘অতি ভক্তি’ দেখাতে নিজেদের সই করা জার্সি উপহার দেন এরদোগানকে। সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করে জানিয়েও দিয়েছিলেন।
তারপর থেকেই চাপা একটা অসন্তোষ। গুনদোগান তো আবার সঙ্গে বার্তাও লিখেছিলেন, “আমাদের সম্মানীয় প্রেসিডেন্টকে উপহার।” তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে কেন ‘আমাদের’ বলবেন জার্মান ফুটবলাররা? তুঙ্গে ওঠে বিতর্ক। ওই দুই ফুটবলারকে জাতীয় শিবির থেকে বিতাড়িত করারও দাবি তোলে জার্মান সমর্থকদের একাংশ।প্রাক্তনীদের কেউ কেউও তেমনটাই দাবি তোলেন। সেসব বিতর্ক এড়াতে অবশ্য ওজিলদের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন কোচ জোয়াকিম লো। কিন্তু বিশ্বকাপের জঘন্য পারফরম্যান্সের পর আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠল সেই বিতর্ক।
রাশিয়া থেকে দেশে ফেরার পর শুক্রবার এরডোগান দুই জার্মান তারকাকেই সেই সই করা জার্সি ফেরত পাঠিয়ে দিলেন। সঙ্গের বার্তাটা আরও সাংঘাতিক। “রিসেপ এরদোগান আশা করেছিলেন বিশ্বকাপে মিস্টার ওজিল এবং মিস্টার গুনদোগান ভাল খেলবেন। কিন্তু, সেটা না হওয়ায় উনি হতাশ। তাই জার্সি ফেরত পাঠানো হল। ভবিষ্যতে ওঁদের সঙ্গে এরদোগানের কোনও সম্পর্ক থাকবে না। আর ওঁকে নিজেদের প্রেসিডেন্টও যেন না বলা হয়।” একে হতাশাজনক পারফরম্যান্সেরে জেরে ঘরে-বাইরে সমালোচনায় বিদ্ধ ওজিল, গুনদোগানরা। এর মধ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.