কলম্বিয়া: ১ (কেন)
ইংল্যান্ড: ১ (মিনা)
পেনাল্টিকে ৪-৩ গোলে জয়ী ইংল্যান্ড
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্যালারিতে তখন শেষ আটে পৌঁছে যাওয়ার সেলিব্রেশন শুরু করে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ড সমর্থকরা। কিন্তু খেলার ৯৩ মিনিটে যে ম্যাচের ক্লাইম্যাক্স দৃশ্য অপেক্ষা করছিল, অনেকেই ভাবেননি। কল্পনা করেননি, অন্তিম লগ্নে এসেও ম্যাচ গড়াবে এক্সট্রা টাইমে। ইয়েরি মিনার গোলে তখন নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু কলম্বিয়ান ভক্তদের। একরাশ হতাশা ঝেড়ে গ্যালারিতে তখন উচ্ছ্বসিত হামেজ রডরিগেড। তবে শেষরক্ষা হল না। টাইব্রেকারে কলম্বিয়ার স্বপ্নভঙ্গ করে বিশ্বকাপের কোয়ার্টারে পৌঁছে গেল থ্রি লায়ন্স।
Match #56 | #COL 1-1 #ENG (PSO 3-4)#COLENG pic.twitter.com/UyDDXeoPKw
— FIFA World Cup 🏆 (@FIFAWorldCup) July 3, 2018
তাঁর বুটটিই কি সোনার হতে চলেছে? টুর্নামেন্টের এ পর্যায়ে এসে এমন স্বপ্ন দেখতেই পারেন ব্রিটিশ অধিনায়ক হ্যারি কেন। চলতি বিশ্বকাপে রাজকীয় পারফরম্যান্সের সৌজন্যে হাফ ডজন গোলের মালিক হয়ে গেলেন কেন। সাফল্যের তো নানা সংজ্ঞা হয়। কিন্তু আজ সবদিক থেকে সফল তিনি। দুর্দান্ত স্ট্রাইকার এবং একজন অধিনায়ক হিসেবেও। তবে রাশিয়ার আকাশে কেনের নক্ষত্র হয়ে ওঠার দিন হতাশায় মুখ ডুবল গ্যালারিতে বসা এক তরুণ তুর্কির। তিনি হামেজ রডরিগেজ। চোটের কারণে যাঁর এবারের বিশ্বকাপটা ঠিকভাবে খেলাই হল না। যিনি ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে মন কেড়েছিলেন ফুটবলপ্রেমীদের। তাঁর অনুপস্থিতিতে জয় অধরাই করে গেল কলম্বিয়ার।
6 – Harry Kane is the first player to score in six consecutive England appearances since Tommy Lawton in 1939. Reliable. #COLENG #ENG #WorldCup pic.twitter.com/fYbZ622WfD
— OptaJoe (@OptaJoe) July 3, 2018
The @Budweiser #ManoftheMatch for #COLENG is @England‘s @HKane! pic.twitter.com/ZSKmE8gG1x
— FIFA World Cup 🏆 (@FIFAWorldCup) July 3, 2018
২০০৬ বিশ্বকাপে মাথা দিয়ে ঢুসো মেরে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল জিনেদিন জিদানকে। বিশ্বকাপের বিদায়বেলাটা খুব একটা সুখকর হয়নি তাঁর। সেই স্মৃতিকেই মঙ্গল-রাতে মস্কোয় উসকে দিলেন কলম্বিয়ার ব্যারিওস। ব্রিটিশ মিডিও হ্যান্ডারসনকে গুঁতো মারলেন। যন্ত্রণায় মাটিতে পড়ে গেলেন হ্যান্ডারসন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে লাল কার্ড দেখতে হল না তাঁকে। হলুদ কার্ডের সতর্ক বাণীতেই কাজ সারলেন রেফারি। অথচ ইচ্ছা করলে ভিএআর-এর সাহায্য নিতেই পারতেন। তবে এদিন কলম্বিয়ানরা খেলা দিয়ে কম, হাত পা দিয়েই প্রতিপক্ষকে রোখার চেষ্টা চালিয়ে গেলেন বেশি। যার মূল্য দিতে হল দ্বিতীয়ার্ধে। বক্সের ভিতর অধিনায়ক হ্যারি কেনকে ফাউল করতেই কাঙ্খিত পেনাল্টি উপহার পেল ইংল্যান্ড। ব্যস, বাকি কাজটা মসৃণভাবেই হয়ে গেল। গোল হজম করার পর আরও মেজাজ হারায় ভালদেরামার দেশ। গোটা ম্যাচে পাঁচজন কলম্বিয়ান দেখলেন হলুদ কার্ড। তবে ইনজুরি টাইমে কর্নার কিককে কাজে লাগিয়ে গোল করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন ইয়েরি মিনা। যদিও টাইব্রেকারে ম্যাচ গড়ানোয় শেষরক্ষা হয়নি।
গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে অধিকাংশ ফুটবলারকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ সাউথগেট। সে ম্যাচে পরাস্ত হয় ইংল্যান্ড। ফলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল কোচকে। নিন্দুকদের মুখ এদিন বন্ধ করে দিলেন স্টারলিনরা। যোগ্য দল হিসেবেই বিশ্বকাপের শেষ আটে পৌঁছে গেল দল। যেখানে তাদের অপেক্ষায় সুইসবাহিনী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.