ব্রাজিল: ১ (কুটিনহো)
সুইজারল্যান্ড: ১ (জুবার)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেক্সিকোর কাছে জার্মানি ধরাশায়ী হতেই টেনশন বাড়তে শুরু করেছিল ব্রাজিল ভক্তদের। এ যে অঘটনের বিশ্বকাপ! যেখানে স্পেনকে কখনও একা রুখে দেন রোনাল্ডো তো কখনও পেনাল্টি থেকে গোল মিস করেন স্বয়ং ঈশ্বর তুল্য মেসি। তবে কি ব্রাজিল ম্যাচেও এমনই কিছু অঘটন ঘটতে পারে? নাহ, এ ট্রেন্ডের ব্যতিক্রমী হতে পারল না ব্রাজিলও। নষ্ট হল দুটি পয়েন্ট। যতদিন গড়াচ্ছে, আক্ষরিক অর্থেই অপ্রত্যাশিত ফলাফলের সাক্ষী থাকছে গোটা বিশ্ব। আর্জেন্টিনা, স্পেন, জার্মানির পর এবার মন ভাঙল ব্রাজিলও।
দলের পারফরম্যান্সে কি সন্তুষ্ট কোচ তিতে? বলা মুশকিল। কারণ এদিনের ফল যাই হোক, প্রচুর সুযোগ তৈরি করলেন মিরান্ডা, পাওলিনহো, সিলভারা। ব্রাজিলের দলগত পারফরম্যান্সকে একেবারেই ছন্নছাড়া বলা যাবে না। দলকে একবারও নেইমার নির্ভর মনে হয়নি। কিন্তু ওই যে, দিনের শেষে পয়েন্টটাই বড় ফ্যাক্টর হযে দাঁড়ায়। আর সেখানেই অপূর্ণতা থেকে গেল সেলেকাওদের। তাই তিতের মনে তিক্ততা থেকে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।
So, this is how Group E is looking after today’s fixtures…
1) #SRB
2) #BRA
3) #SUI
4) #CRC #WorldCup pic.twitter.com/uEvNUgFKtJ— FIFA World Cup 🏆 (@FIFAWorldCup) June 17, 2018
এদিন সুইজারল্যান্ডের দুটোই লক্ষ্য ছিল। এক, চোট সারিয়ে ওঠা তারকা নেইমারকে যেভাবেই হোক ফের চোটের কবলে ফেলা। তার জন্য সবরকম চেষ্টা চালিয়ে গেল সুইস মাঝমাঠ। কারণ বিপক্ষ জানে, ব্রাজিল দলের অক্সিজেন এই স্ট্রাইকারই। আর দুই, কীভাবে গোল শোধের পর সময় নষ্ট করা যায়। তবে স্ট্র্যাটেজি যাই থাকুক, সুইস গোলকিপারের দুর্দান্ত হাত জোড়া এদিন জাদু না দেখালে কোনও ছকই কাজে আসত না। উলটে বড় ব্যবধানেই জিততে পারত ব্রাজিল।
শুরু থেকেই সুইস ডেরায় আক্রমণ শানান উইলিয়ান, কুটিনহোরা। ১১ মিনিটে তো প্রায় নিশ্চিত গোলই সুইস গোলকিপারের হাতে লেগে বাইরে চলে যায়। তবে অপেক্ষার অবসান ঘটে ফিলিপে কুটিনহোর অসাধারণ গোলে। বক্সের ডানদিক থেকে দূরপাল্লার অনবদ্য শটে বল ঠিকানায় পৌঁছে দেন তিনি। রোস্তভ এরিনা জুড়ে তখন সাম্বার দোলা লেগেছে। তবে গোল করতেই অদ্ভুতভাবে খেলার ছন্দ বদলে নিজেদের মধ্যে পাস খেলে সময় নষ্ট করেন মার্সেলোরা। প্রথমার্ধের ইনজুরি থিয়াগো সিলভা সুযোগ তৈরি করেও ব্যর্থ। এতদূর পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। অঘটন ঘটল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই। কর্ণার কিককে কাজে লাগিয়ে দু্র্দান্ত হেডারে গোল করে সুইজারল্যান্ডকে সমতায় ফেরান জুবার।
তবে এদিনের রেফারিং নিয়ে যে তিতে খুব একটা খুশি হবেন না, তা বলাই বাহুল্য। প্রথমার্ধে নেইমারকে জার্সি ধরে টেনে ফেলে দেওয়ার দৃশ্য চোখেই পড়ল না রেফারির। দ্বিতীয়ার্ধে বক্সের ভিতর জেসুসকে স্পষ্ট ফাউল করেও বেঁচে গেলেন আকাঞ্জি। এমনকী ভিএআর-এর আবেদনও উড়িয়ে দেওয়া হল।
সেই ১৯৫০ ব্রাজিল বিশ্বকাপের পর ফুটবলের মহারণে এই প্রথম সাক্ষাৎ। সেবার সুইস স্রোতে আটকে গিয়েছিল পেলের দেশ। এদিন সেই ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি ঘটল। ২১ ম্যাচের ১৭টিতে জয়ী দল ব্রাজিল যে বিশ্বকাপের শুরুতেই এভাবে হোঁচট খাবে, অনেকেই ভাবেননি। তবে ওই যে, অঘটনের ট্রেন্ড অব্যাহত। তাই নিজেদের প্রথম ম্যাচ শেষে একই জায়গায় রইল বিশ্বের তিন সেরা তারকা মেসি, রোনাল্ডো ও নেইমারের দল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.