সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের মানরক্ষার লড়াই। শেষমুহূর্তে প্রতিপক্ষকে মরণ কামড় দিতেই হবে। আর নাহলেই সব শেষ। এমন পরিস্থিতিতে ঠিক কতটা চাপে থাকতে পারে সেই দল তা গ্যালারিতে বসে কিংবা টিভির পর্দায় চোখ রেখে হয়তো পুরোটা বোঝা সম্ভব নয়। আর সেই মৃত্যু ফাঁদ থেকেই দলকে টেনে তুলল মেসি মন্ত্র। বিরতিতে অধিনায়কের পেপটকই নাকি বদলে দিয়েছিল গোটা শিবিরের মানসিকতা। আর নকআউটে পৌঁছে সেই রহস্যই ফাঁস করলেন নায়ক হয়ে ওঠা মার্কোস রোহো।
প্রথমার্ধে মেসির গোলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে গিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তখনও ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়নি। কারণ অন্য ম্যাচে তখনও মদ্রিচদের আটকে রেখেছিল আইসল্যান্ড। স্বাভাবিকভাবেই প্রবল চাপে ছিলেন ডি মারিয়া, হিগুয়েনরা। এদিকে কোচ সাম্পাওলি তো ছেলেদের পাশে দাঁড়াতে আগেই ব্যর্থ হয়েছেন। কোচের আসনে বসে থাকা ছাড়া আর কোনও ভূমিকাই ছিল না তাঁর। তাই সমস্ত দায়িত্ব একার কাঁধেই তুলে নিয়েছিলেন এলএম টেন। সতীর্থরা যাতে টেনশন দূরে রেখে নিজেদের স্বাভাবিক ছন্দে খেলতে পারেন, তার জন্য দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামার আগে গোটা দলকে ভোকাল টনিক দিতে দেখা গেল মেসিকে। ঠিক কী বলেছিলেন সেই সময়, যাতে শেষমেশ যুদ্ধে জয়ী হল আর্জেন্টিনা? ডিফেন্ডার রোহো জানালেন সে কথা। বললেন, “বিরতির সময় মেসি বলল, আমাদের মধ্যে যে যখন গোল করার সুযোগ পাব, সে-ই গোল করব। নিজেরা কোন পজিশনে খেলি সেটা তখন মাথায় রাখলে চলবে না।” আর এই মন্ত্রই বদলে দিয়েছিল ম্যাচের রং। অন্তিম লগ্নে এক ডিফেন্ডারের গোলেই জয় নিশ্চিত করে মারাদোনার দেশ।
#NGAARG@_Hybreed_ just in case you missed it. pic.twitter.com/gCiLOFm90f
— Ms Negetive (@SA_Legend007) June 26,
2018
দলকে খাদের মুখ থেকে টেনে তুলে তিনটি মূল্যবান পয়েন্ট এনে দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত রোহো। ম্যাচ শেষে বললেন, “মেসির মন্ত্রই মাথায় ছিল। যখন দেখলাম আমার দিকে বল আসছে তখন তা নিজের মনে করেই শটটা নিয়েছিলাম।” মেসিকে যাঁরা লিডার বলতে দ্বিধা বোধ করেছিলেন, সেই সব সমালোচকদের এভাবেই মুখ বন্ধ করে দিলেন ফুটবলের ঈশ্বর। মারাদোনা এবং বাতিস্তুতার পর তৃতীয় আর্জেন্টাইন তারকা হিসেবে এদিন তিনটি বিশ্বকাপে গোলের রেকর্ডও গড়েন এলএম টেন। তাঁর নেতৃত্বে আরও কোণঠাসা হল সাম্পাওলির অস্তিত্ব। এবার শুধু এগিয়ে যাওয়ার পালা। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবছেন না আর্জেন্টিনার উজ্জ্বলতম তারকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.