সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স মোটে ১৯ বছর ১৮৩ দিন। এই বয়সেই গোটা ফ্রান্সের নায়ক এখন কিলিয়ান এমবাপে। কারণ তাঁর গোলেই বিশ্বকাপের নক-আউটের টিকিট নিশ্চিত করল দিদিয়ের দেশঁ-র দল। ফ্রান্সের তরুণতম ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে গোল করার অনন্য নজির গড়লেন পিএসজির ফরোয়ার্ড। গ্রিজম্যানরা জিতল ১-০ গোলে। এদিকে, নিজেদের দুটি ম্যাচই হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল পেরু।
Key stats:
👉 @KMbappe is the first #FRA player to have been born after their World Cup victory in 1998 and score a #WorldCup goal
👉 #PER can no longer progress out of Group C in this year’s tournament.#FRAPER pic.twitter.com/9J28KrEWy9
— FIFA World Cup 🏆 (@FIFAWorldCup) 21 June 2018
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জিতলেও ফ্রান্সের পারফরম্যান্স মোটেই সন্তোষজনক ছিল না। এমনকি ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে কোচ দিদিয়ের দেশঁ স্বীকার করে নিয়েছিলেন, ভিএআরের সুবাদেই তিন পয়েন্ট পেয়েছেন তাঁরা। পারফরম্যান্সে খুশি নন তিনি। কোচের সেই আক্ষেপ অনেকটা দূর হল একতারিনবার্গে। জিরু প্রথম একাদশে আসতেই বদলে গেল ছবিটা। দুর্দান্ত লিঙ্ক-আপ প্লে, এমবাপে-জিরু-গ্রিজম্যানের ত্রিভূজ আক্রমণে বারবার বিধ্বস্ত হয়ে উঠল পেরুর রক্ষণ। এমনই এক আক্রমণ থেকে গোল তুলে নিলেন এমবাপে।
19 years and 183 days. pic.twitter.com/EtUNmqHOeQ
— FIFA World Cup 🏆 (@FIFAWorldCup) 21 June 2018
খেলার বয়স তখন ৩৪ মিনিট। গ্রিজম্যানের পাঠানো থ্রু বল, দুর্দান্ত দক্ষতায় নিয়ন্ত্রণ করেন জিরু, মাইনাস করেন এমবাপের জন্য। পেরুর ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বল আগুয়ান গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে গিয়ে পড়ে এমবাপের পায়ে। ফাঁকা জালে বল ঠেলে দেন ফ্রান্সের ১০ নম্বর জার্সিধারী ফুটবলার। সেই সঙ্গে ফ্রান্সের তরুণতম ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে গোল করার অনবদ্য রেকর্ড গড়লেন এমবাপে। শুধু গোল নয়, গোলের পরও গোটা ম্যাচ দাপটের সঙ্গে খেললেন এমবাপে। তবে, বারবার সুযোগ তৈরি হলেও জিরু, গ্রিজম্যানরা আর গোল করতে পারেননি, সুযোগ নষ্ট হওয়ার এই প্রবণতা নক-আউটের আগে কিছুটা হলেও চিন্তায় রাখবে কোচ দেশঁকে।
ফ্রান্স জিতলেও খেলা কিন্তু মোটেই একপেশে হয়নি। পেরুও বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল। প্রথমার্ধে গুরেরোর শট দুর্দান্ত দক্ষতায় বাঁচিয়ে দেন ফ্রান্সের গোলকিপার তথা অধিনায়ক হুগো লরিস। শততম আন্তর্জাতিক ম্যাচে আরও কয়েকটি কঠিন সেভ করতে হয়েছে লরিসকে। তবে, ম্যাচের ৫০ মিনিটে অ্যাকুইনার শট গোলপোস্টে লেগে বাইরে না গেলে হয়ত এদিন এক পয়েন্ট নিয়েই ফিরতে হত ফ্রান্সকে। এরপরেও একাধিক সুযোগ পায় পেরু। শেষপর্যন্ত আর কোনও গোল হয়নি ম্যাচে।
জয়ের ফলে ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে চলে গেল ফ্রান্স। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে গেল নক-আউটের টিকিট। অন্যদিকে, দীর্ঘদিন বাদে বিশ্বকাপের মঞ্চে এসে হতাশা নিয়েই ফিরতে হল পেরুকে। দু’ম্যাচেই হেরে চতুর্থ দল হিসেবে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.