আর্জেন্টিনা: ১ (অ্যাগুয়েরো)
আইসল্যান্ড: ১ (ফিনবোগাসন)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৬ কোপা আমেরিকা। ফাইনালে চিলির বিরুদ্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন লিওনেল মেসি। আর সেই সঙ্গে হাতছাড়া হয়েছিল ট্রফি। সেই হতাশায় আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। কিন্তু গোটা বিশ্বের ভক্তদের চাহিদায় ফের দেশের জার্সি গায়ে চাপান। আর মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেন দেশকে কিছু দিয়ে যাওয়ার।
কাট টু: ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ। আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ফের পেনাল্টি থেকে গোল মিস করলেন ফুটবলের রাজপুত্র। ব্যর্থতার বৃত্ত পূর্ণ হল। আর সেই বৃত্তের মতোই হতাশায় শূন্য হল আর্জেন্টিনা সমর্থকদের হৃদয়। কী দেখার অপেক্ষায় ছিল গোটা দুনিয়া। আর কী দেখল। শুক্ররাতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ঐশ্বরিক প্রদর্শনের পর মেসির থেকে ফুটবল বিশ্বের প্রত্যাশা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রোনাল্ডোর ধারেকাছেও তো পৌঁছাতে পারলেন না তিনি। এমনকী নিজের স্বভাবসিদ্ধ খেলাটুকুও খেলতে পারলেন না। অদ্ভুত চাপে যেন তাঁর হাত-পা অবশ হয়ে উঠছিল। বডি ল্যাঙ্গুয়েজেও অসম্ভব অস্বস্তি লক্ষ্য করা গেল। তবে কি সিআর সেভেনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছিল তাঁকে? নাকি কোটি কোটি আর্জেন্টাইনদের প্রত্যাশার চাপ নিতে পারছিলেন না তিনি। নাকি গ্যালারিতে বসে থাকা কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনার সামনে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে গিয়েই ভুল করে বসলেন? নাকি দেশের জার্সি গায়ে চাপালেই ভ্যানিশ হয়ে যায় মেসি ম্যাজিক? কারণ যাই হোক, আসল কথা হল স্পার্টাক স্টেডিয়ামকে এদিন চূড়ান্ত নিরাশ করলেন এলএম টেন।
Argentina vs Iceland#Messi So Close Messi misses the Penalty#ARGISL #WorldCup pic.twitter.com/BJ5tiTKpXP
— Nova Villanueva (@Villanue) June 16, 2018
আইসল্যান্ডের মতো ক্ষুদ্র দল। জনসংখ্যার নিরিখে যেমন সর্বকনিষ্ঠ, তেমন খেলার দিক থেকেও দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার থেকে ধারে ও ভারে অনেক পিছিয়ে তারা। ফুটবলটা নেহাতই শখে খেলেন এই তারকারা। কিন্তু মেসিকে বেঁধে রাখার অসাধারণ ছকেই বাজিমাত করলেন কোচ হালগ্রিমসন। নিজের দলের শক্তি ডিফেন্সকেই শুরু থেকে কাজে লাগান তিনি। আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারকে বল নিয়ে এগোনোর জন্য এক ইঞ্চি জমি দেননি আইসল্যান্ডের ডিফেন্ডাররা। তবে অ্যাগুয়েরো গোল করতেই ছক বদলান কোচ। মেসিদের ডেরায় আক্রমণ শানিয়ে মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই গোল শোধ করে দেন ফিনবোগাসন। দ্বিতীয়ার্ধে ফের ডিফেন্সিভ ফুটবলে ভর করে মেসি অ্যান্ড কোম্পানিকে রুখে দিল আইসল্যান্ড। আজ নি:সন্দেহে আইসল্যান্ডের স্মরণীয় দিন। বিশ্বকাপে দেশের অভিষেকেই রাতারাতি তারকা হয়ে গেলেন তাদের গোলকিপার। আর্জেন্টিনার অতি বড় শত্রুও হয়তো ভাবেননি, মেসি ও তাঁর দলকে এমন ছন্নছাড়া দেখাবে। ডিফেন্স নিয়ে চিন্তায় থাকবেন কোচ। একদিকে যখন একক কৃতিত্বে স্পেনকে আটকে দিলেন সিআর সেভেন, তখন একাই দলের বিপর্যয়ের কারণ হয়ে রইলেন মেসি। বিশ্বকাপের শুরুতেই এতবড় ধাক্কা সহ্য করতে পারবে তো সাম্পাওলি শিবির? আজ রাতে ঘুম হবে তো বার্সা স্ট্রাইকারের? কে জানে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.