সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পানীয় বিক্রির হিসাবে গোটা বিশ্বে রাশিয়া আছে ১৪তম স্থানে। হিসাবটা সারা বছর ধরে এখানকার লোকজন কত পরিমাণে পান করেন সেটা ধরেই। মনে করা হয়েছিল যে, বিশ্বকাপের সময় হইহই করে পানীয় বিক্রি বাড়বে রাশিয়ায়। এদেশের ভদকার সুনাম গোটা পৃথিবী জুড়ে। কিন্তু যা মনে করা হয়েছিল, ব্যাপারটা সেরকম দাঁড়ায়নি।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে গোটা পৃথিবীর পর্যটকরা এখন ভিড় জমিয়েছেন রাশিয়ায়। এত ভিড় যে হোটেলে ঠাঁই নেই-ঠাঁই নেই রব উঠেছে। সাদা চোখে দেখলে মস্কো বা অন্য শহরগুলিতে পানশালা, বিয়ার গার্ডেন বা ক্র্যাফট বিয়ার পাব-এ এখন উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু সামগ্রিকভাবে যা দেখা যাচ্ছে তাতে যা মনে করা হয়েছিল সেই সীমা কিন্তু ছুঁতে পারছে না। অনেক বছর ধরেই রাশিয়ায় বিয়ার ইন্ডাস্ট্রি মার খাচ্ছে। যখন থেকে এই বিয়ারকে সফট ড্রিঙ্কসের বদলে অ্যালকোহলের আওতায় নিয়ে আসা হল, তখন থেকেই ছবিটা এরকম।
বিয়ারের ব্যবহার কমলেও তুলনামূলকভাবে ভদকার ব্যবহার কিছুটা ভাল। রাশিয়ার জনজীবনে এই ভদকার প্রভাব সাংঘাতিক। কেন বিয়ারের ব্যবহার রাশিয়াতে কমে গেল, তা নিয়ে প্রচুর চর্চা হয়েছে। যার আরও একটা কারণ এর বিক্রিতে কিছুটা নিষেধাজ্ঞা এসেছে। নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বিজ্ঞাপনের উপরেও। এছাড়া করের ব্যাপারটাও রয়েছে। তবে, আসল ধাক্কাটা এসেছে বোধহয় ২০১১-তে। যখন এই বিয়ারকে সফট ড্রিঙ্কসের বদলে অ্যালকোহলের ক্যাটেগরিতে ফেলে দেওয়া হল। তারপর থেকে রাতের দিকে এই বিয়ার বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। শুধু রাস্তার কিয়স্ক-এ কিছুটা বিক্রি-টিক্রি হয়।
এক সিনিয়র ডেভলপমেন্ট ডিরেক্টরের ভাষায়, ২০০৭ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বিয়ারের উপর ট্যাক্স প্রায় দশগুন বেড়েছে। এর ফলে, বিক্রি কমেছে। এখন ভাবা হচ্ছিল বিশ্বকাপের হাত ধরে ছবিটা বদলে যাবে। কিন্তু তেমন কোনও চিত্র এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। তাছাড়া একমাসের বিয়ার বিক্রির বৃদ্ধি সামগ্রিকভাবে গোটা পরিস্থিতি কতটা বদলে দিতে পারে, সেই প্রশ্নও রয়েছে। এদিকে, বিশ্বকাপের সময় স্টেডিয়ামের দুই কিলোমিটারের মধ্যে পানীয় জাতীয় কিছুর ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যাতে পানীয়ের প্রভাবে দর্শকরা মাঠে ঢুকে গণ্ডগোল না পাকাতে পারেন। তাছাড়া বিশ্বকাপ উপলক্ষে অ্যালকোহল ফ্রি বিয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, ক্র্যাফট বিয়ারের বিক্রি বেশ উৎসাহজনক। বিশ্বকাপের জন্য ক্র্যাফট বিয়ার বারে বেশ ভিড় হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.