Advertisement
Advertisement

Breaking News

গ্রিজম্যান-পোগবা যুগলবন্দিতে প্রথম ম্যাচে জয় ফ্রান্সের

ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সাহায্যে পেনাল্টি পেল ফ্রান্স।

FIFA football World Cup 2018: France beats Australia in Kazan
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 16, 2018 5:47 pm
  • Updated:September 14, 2023 7:48 pm  

ফ্রান্স- ২ (গ্রিজম্যান ৫৮, পোগবা ৮০)

অস্ট্রেলিয়া-১ (জেডিনাক ৬২)

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৫৮ মিনিটে গ্রিজম্যানের পেনাল্টি, ৮০ মিনিটে পোগবার দুর্দান্ত গোল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ফ্রান্স। খেলার ফল ২-১। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে পেনাল্টি থেকে একমাত্র গোলটি করলেন মিলে জেডিনাক।  বিশ্বকাপ দেখল প্রথম ভিএআর-প্রযুক্তির কামাল।

[জীবন ও ফুটবল-যৌনতার যৌথ হাতছানি, সোচির রাত দেখল ‘এলিয়েন’ রোনাল্ডোকে]

একটা সময় মনে হচ্ছিল ভিএআরের মাধ্যমে পাওয়া গ্রিজম্যনের পেনাল্টিও তিন পয়েন্ট এনে দিতে পারেব না ফ্রান্সকে। জমাট-রক্ষণ এক পয়েন্ট এনে দেবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের। কিন্তু সমস্ত সমীকরণ বদলে দিল পল পোগবার দুর্দান্ত গোল। ম্যাচের ৮০ মিনিটে ডি-বক্সের মাঝখান থেকে দুর্দান্ত ফ্লিকে অস্ট্রেলিয়ার গোলকিপার রায়ানকে পরাস্ত করলেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড তারকা। এর আগে ম্যাচের ৫৮ মিনিটে প্রথম ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সাহায্যে পেনাল্টি পেয়েছিল ফ্রান্স। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে গ্রিজম্যানকে বিপজ্জনকভাবে ট্যাকল করেন অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্ডার রিডসন।  তবে পেনাল্টি দেননি রেফারি। কিন্তু বল মাঠের বাইরে যেতেই ঘটল অভাবনীয় ঘটনা। ক্রিকেটের ধাঁচে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি মাঠের রেফারিকে নিজের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিলেন। মাঠের বাইরে গিয়ে সেই ট্যাকলের ভিডিও আবার দেখলেন রেফারি, নির্দেশ দিলেন পেনাল্টির। ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথম ভিএআর থেকে পেনাল্টি পেল কোনও দেশ। নিঁখুত পেনাল্টি থেকে গোল করলেন গ্রিজম্যান।

[‘আমিই বিশ্বের সেরা ফুটবলার’, মেসি-রোনাল্ডোকে কোথায় রাখলেন নেইমার?]

কিছুক্ষণের মধ্যেই  অবশ্য পেনাল্টি থেকেই গোল পরিশোধ  করে দেন অস্ট্রেলিয়ার মিলে জেডিনাক। ম্যাচের বয়স তখন ঘণ্টাখানেক। বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করে বসেন ফ্রান্সের স্যামুয়েল উমতিতি। পেনাল্টি স্পট থেকে সহজেই ফ্রান্সের গোলকিপার লরিসকে পরাস্ত পরাস্ত করেন অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার জেডিনাক। এর আগে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতার দরুন একের পর এক আক্রমণ করেও প্রথমার্ধে গোলমুখ খুলতে পারেনি ফ্রান্স।  প্রথমার্ধের শুরু থেকেই নিয়মিত আক্রমণে উঠে আসছিল ফ্রান্স, কিন্তু ফাইনাল থার্ডে ব্যর্থতার জন্য সেভাবে সুযোগ তৈরি হয়নি। খেলার গতির বিপরীতে গিয়ে প্রথম সহজ সুযোগটি পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়াই। ১৮ মিনিটে সানসবুরির করা শট কোনওরকমে বাঁচিয়ে দেন ফ্রান্সের অধিনায়ক লরিস। এরপর অবশ্য বেশ কয়েকটি ঝাঁজালো আক্রমণ শানিয়েছিলেন এমবাপে, গ্রিজম্যানরা। তাতে কোনও লাভ হয়নি প্রথমার্ধে।

[রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক করে স্প্যানিশ আর্মাডা রুখে দিলেন রোনাল্ডো]

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে অবশ্য ম্যাচের গতি পালটে যায়, আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ান এমবাপে, গ্রিজম্যান, ডেম্বলেরা। যার সুবাদেই ফ্রান্সের ২-১-এ এই জয়। তবে, জয় পেলেও মাঝমাঠ এবং আক্রমণভাগের দিশাহীন ফুটবল কিছুটা হলেও চিন্তায় রাখবে ফ্রান্সের কোচ দেশঁকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement