Advertisement
Advertisement

সম্মানের লড়াইয়েও ব্যর্থ ব্রিটিশরা, ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে তৃতীয় বেলজিয়াম

হেরে চতুর্থ হয়ে এবারের মতো বিশ্বকাপ অভিযান শেষ থ্রি লায়ন্সের।

FIFA Football World Cup 2018: Belgium stuns England, finishes 3rd in tournament
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 14, 2018 9:22 pm
  • Updated:July 14, 2018 9:50 pm

বেলজিয়াম- ২ (মুনিয়ের, হ্যাজার্ড)

ইংল্যান্ড- ০

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদতে নিয়মরক্ষার ম্যাচ। কিন্তু সেমিফাইনালে হেরে গিয়ে তৃতীয় স্থানের লড়াই কিছুটা হৃত সম্মান পুনরুদ্ধারের ম্যাচ ছিল ইংল্যান্ড ও বেলজিয়ামের কাছে। গ্রুপ পর্বের দুই হেভিওয়েট ফের একবার মুখোমুখি বিশ্বকাপে। গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের বিজয়রথ থামিয়ে ছিল বেলজিয়াম। রাশিয়া বিশ্বকাপে সেটাই ইংরেজদের প্রথম পরাজয়। সেই ম্যাচেরই অ্যাকশন রিপ্লে দেখা গেল সেন্ট পিটার্সবার্গে শনিবার। তৃতীয় স্থানের লড়াইয়েও বেলজিয়ামের কাছে সম্মান খুইয়ে এবারের মতো বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হল থ্রি লায়ন্সের। মুনিয়ের ও হ্যাজার্ডের দুরন্ত গোলে ২-০ স্কোরে ম্যাচ জিতল বেলজিয়াম। এদিন বেলজিয়ামের অন্যতম ভরসা ও গোল্ডেন বুটের অন্যতম দাবিদার রোমেলু লুকাকু দুটো নিশ্চিত গোলের সুযোগ হাতছাড়া না করলে আরও লজ্জা বাকি ছিল ইংরেজদের। শেষ চারের লড়াইয়ে ফরাসি বিপ্লবের কাছে হার মেনেছিলেন রবের্তো মার্টিনেজের ছেলেরা। এদিন জিতে সেই জ্বালা কিছুটা হলেও জুড়োলেন হ্যাজার্ড, মার্টেন্সরা। ৮৬’ বিশ্বকাপে চতুর্থ স্থানে শেষ করাই এতদিন ছিল বেলজিয়ামের সেরা পারফরম্যান্স। রাশিয়া বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান অর্জন করে অন্তত মাথা উঁচু করে দেশে ফিরবেন বেলজিয়ানরা।

Advertisement

এদিন বেলজিয়ামের সাফল্যের চেয়েও আলোচনায় বেশি উঠে আসবে ইংল্যান্ডের ব্যর্থতার কথা। সেমিতে হারের পর কোচ গ্যারেথ সাউথগেট বলেছিলেন, হারের পর এত কম সময়ে ফুটবলারদের তৃতীয় স্থান নির্ণায়ক ম্যাচের জন্য তৈরি করা কঠিন। মানসিকভাবে প্রত্যেকেই ভেঙে পড়েছেন। সেই ছাপ দেখা গেল এদিন ইংরেজদের খেলায়। প্রথমার্ধ থেকেই বেলজিয়ানদের লাগাতার আক্রমণের সামনে কেমন গুটিয়ে গেলেন ইংরেজরা। ছন্নছাড়া ডিফেন্সের ফল ৫ মিনিটের মাথায় গোল। মুনিয়েরের গোল ইংল্যান্ড ডিফেন্সের কঙ্কালসার অবস্থা দেখিয়ে দেয়। তারপর একাধিকবার হোঁচট খেলেন ম্যাগুয়ের, স্টোনসরা। লুকাকু প্রথমার্ধে ক্ষমার অযোগ্য গোল মিস করলেন। হয়তো ভাগ্যদেবীও চাইছিলেন না তিনি সোনার বুট পান। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের ফরোয়ার্ডরা এদিনও নিষ্ফলা। কলম্বিয়ার সঙ্গে শেষ ষোলোর ম্যাচে গোল পেয়েছিলেন হ্যারি কেন। তারপর একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করেছেন তিনি। ফুটবল বিশেষজ্ঞরা আদৌ কেন গোল্ডেন বুটের যোগ্য কিনা প্রশ্ন তুলেছেন। কারণ, ছটি গোলের মধ্যে তিনটিই এসেছে পেনাল্টি থেকে। আর রহিম স্টারলিং, বিশ্বকাপের সাত ম্যাচ খেলেও গোল করতে ব্যর্থ তিনি। এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছেন বোধহয় তিনিই।

[OMG! ফাইনালের আগে নেটদুনিয়ায় ফের উষ্ণতা ছড়ালেন ক্রোট প্রেসিডেন্ট!]

ইংল্যান্ডের ব্যর্থতার দিনে ফের একবার জাত চেনালেন বেলজিয়ামের অধিনায়ক এডেন হ্যাজার্ড। গোল্ডেন বলের যোগ্য দাবিদার তিনি। গোটা মাঠ জুড়ে খেললেন চেলসি উইঙ্গার। ফ্রান্স ম্যাচেও এমন জ্বলে উঠলে অন্যরকম ফল হতে পারত। নিয়তির ফলে হয়নি। তাই এদিন ইংল্যান্ড ডিফেন্সকে বারবার ফালাফালা করে পুষিয়ে নিলেন তিনি। এদিন যে খেলাটা বেলজিয়াম খেলল সেটাই তাদের স্বভাবসিদ্ধ। প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করে দেওয়া। সেমিতে ফ্রান্সের কাছে গোল খেয়ে যাওয়ার পর আর ফিরে আসতে পারেননি হ্যাজার্ডরা।কে জানে, বেলজিয়ানদের জন্য হয়তো চিত্রনাট্য অন্যভাবেই লিখে রেখেছিলেন ফুটবল দেবতা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ