সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যদি প্রশ্ন করা হয় ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে লজ্জার দিন কোনটা? প্রশ্নের উত্তরটা খুব সহজ। বেলো হোরাইজন্তের সেই অভিশপ্ত রাত। যদিন, জার্মানদের গতি আর ক্ষীপ্রতার সামনে চূর্ণ হয়ে গিয়েছিল সাম্বা ফুটবলের আভিজাত্য। দাভিদ সিলভা, কুটিনহোদের সাত, সাতটি গোল হজম করার সেদিনের সাক্ষী ছিলেন হাজার হাজার ব্রাজিলীয় সমর্থক।
নিজেদের ফুটবল ইতিহাস থেকে এই লজ্জার স্মৃতি মুছে ফেলতে চায় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু এ ইতিহাস সহজে মোছার নয়, তা ভালই জানে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। তাই অভিশপ্ত সে রাতের স্মৃতিগুলোকে ভাল কাজে লাগাতে চাইছেন ফেডারেশন কর্তারা। ফেডারেশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নিলামে তোলা হবে সেদিনের ম্যাচে ব্যবহৃত গোলপোস্টের নেট। ৮, ১৫০ টি টুকরো করা হবে সেই ম্যাচে ব্যবহৃত নেটটি। আর কয়েকদিনের মধ্যেই নিলামে তোলা হবে প্রতিটি টুকরো। একেকটি টুকরোর ন্যূনতম দাম ঠিক করা হয়েছে ৭১ ইউরো। বেলো হরাইজন্তের মিনেরাও স্টেডিয়ামের ডিরেক্টর স্যামুয়েল লয়েড জানিয়েছেন, নিলামের মাধ্যমে যে টাকা উপার্জন হবে তা ব্যবহার করা হবে সেবামূলক কাজে।
তবে, সেদিনের ম্যাচে ব্যবহৃত দু’দিকের নেটই বিক্রি করা হচ্ছে না। বিক্রি হচ্ছে একদিকের নেট। সেদিনের ম্যাচের প্রথমার্ধে ব্রাজিলকে হজম করতে হয়েছিল ৫ টি গোল। দ্বিতীয়ার্ধে ২ টি গোল হজম করতে হয়। দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল অবশ্য শোধও করেছিলেন অস্কার। তাই প্রথমার্ধে যেদিকের নেটে ব্রাজিল ৫ গোল খেয়েছিল সেই নেটটি শুধু নিলামে তোলা হচ্ছে। শুধু নেট নয়, সেদিনের ম্যাচে ব্যবহৃত গোলপোস্টগুলিও আর নিজেদের দেশে রাখতে চাইছে না ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। এই গোলপোস্টগুলি যাবে সেদিনের জয়ী দল জার্মানিতে। ইতিমধ্যেই জার্মানির একটি মিউজিয়ামের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল সংস্থার। ব্রাজিল ফুটবল সংস্থা চাইছে বিশ্বকাপের বল গড়ানোর আগেই সেই অভিশপ্ত ম্যাচের স্মৃতি নিজেদের দেশ থেকে সরিয়ে ফেলতে। যাতে পূরনো স্মৃতি পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারেন নেইমাররা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.