প্রণব সরকার: গোটা ত্রিপুরা জুড়ে এখন উৎসবের আবহ৷ দু’দিন আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মন্দিরে মন্দিরে প্রার্থনা৷ রাজধানী আগরতলার প্রতিটি ক্লাব দীপার সাফল্য কামনায় আয়োজন করেছে পূজার্চনার৷ রাজধানী আগরতলার উপকণ্ঠেই বাড়ি সোনার মেয়ে দীপা কর্মকারের৷ এই মুহূর্তে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে এই বাড়ি৷ সকাল থেকেই মিডিয়ার ভিড়৷ মেয়ের সাফল্য কামনায় ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়েছেন দীপার বাবা দুলাল কর্মকার৷
শনিবার সকালেই দীপার সঙ্গে কথা হয়েছে দুলালবাবুর৷ দুলালবাবু জানিয়েছেন, সকালে দীপা নিজেই ফোন করেছেন৷ ফোন করে বলেছেন, সাফল্যের জন্য তৈরি৷ বাবার কাছে আইসক্রিম খাওয়ার আবদার করেছিলেন দীপা৷ কিন্তু দুলালবাবু বলেছেন, ফাইনালের পরে খাওয়ার জন্য৷ বাবার কথা মেনে নিয়েছেন দীপা৷ মার সঙ্গেও কথা বলে আশীর্বাদ চেয়েছেন দীপা৷ ত্রিপুরায় যেন এখন অকাল দীপাবলি৷ দীপার জন্মদিনের পার্টি করেননি দীপার আত্মীয়স্বজনরা৷ দুলালবাবু জানিয়েছেন, দীপা ফিরে এলেই জন্মদিনের পার্টি হবে৷ গতকাল থেকেই দীপার বাড়িতে এসেছেন আত্মীয়স্বজনরা৷
দীপার বাড়ি দেখার জন্যই দূরদূরান্ত থেকে লোক আসছেন৷ যাঁরাই আসছেন সবাই দীপার সাফল্য কামনা করে গিয়েছেন৷ কেউ দিয়ে গিয়েছেন ফুল, আবার কেউ ঠাকুরবাড়ির আশীর্বাদ৷ সব মিলিয়ে স্বাধীনতা দিবসের প্রাক লগ্নে ত্রিপুরাবাসী এখন রীতিমতো আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছেন৷ রবিবার স্বাধীনতা দিবসের পবিত্র মুহূর্তে দীপা আরও একটি সোনালি মাইল ফলক স্পর্শ করবেন বলে আশা সকলের৷ এই আশা নিয়েই রাত জেগে কাটাবেন ত্রিপুরার ৩৬ লক্ষ রাজ্যবাসী৷ ১৮ বছর আগে একরাশ স্বপ্ন চোখে নিয়ে জিমন্যাস্টিক্স শুরু করেন দীপা৷ একের পর এক সাফল্যের পর বিশ্বের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামতে চলেছেন উত্তর পূর্বাঞ্চলের ছোট্ট প্রান্তিক রাজ্যের এই কন্যা৷ প্রথমে কোচ সোমা নন্দী, পরবর্তী সময়ে বিশ্বেশ্বর নন্দীর তত্ত্বাবধানে দীপা একের পর এক লড়াই জিতেই চলেছেন৷ দীপার কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী ফোনে জানিয়েছেন, নিজেকে ১০০ শতাংশ উজাড় করে দেওয়ার জন্য তৈরি দীপা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.