সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আস্ত একটা বড় ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে আর বিতর্ক হবে না। এ যেন ভাবাই যায় না। কলকাতার ডার্বি অনেক বিতর্কের সাক্ষী থেকেছে। ব্যতিক্রম হল না এবারের ডার্বিও। আই লিগের প্রথম বড় ম্যাচে প্রশ্নের মুখে অবশ্যই রেফারির ভূমিকা। এদিন যুবভারতীতে রেফারির একের পর সিদ্ধান্ত মোহনবাগানের বিপক্ষে গিয়েছে বলে দাবি সবুজ মেরুন সমর্থকদের। এমনকী ক্ষুব্ধ সবুজ মেরুন কর্তারাও। এ বিষয়ে ফেডারেশনে চিঠি দেওয়ার কথাও ভাবছেন তাঁরা।
রালতের প্রথম গোলটি কি অফসাইড ছিল, প্রথমার্ধে একের বিরুদ্ধে এক সিচুয়েশনে হেনরিকে কি ফাউল করা হয়েছিল, কিংসলেকে দেখানো প্রথম হলুদ কার্ডটি কি রেফারির বড় ম্যাচের অনভিজ্ঞতার ফল, ইউতাকেই বা কেন হলুদ কার্ড দেখানো হল। এত বড় ম্যাচে রেফারির কি আরও সহিষ্ণু হওয়া উচিত ছিল না। এমন হাজারো প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে রেফারিকে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রেফারির মুণ্ডপাত শুরু করেছেন মোহনবাগান সমর্থকরা। বড় ম্যাচে রেফারি যে অনভিজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন তা মেনে নিচ্ছেন অনেক বিশেষজ্ঞই। বিশেষত ইস্টবেঙ্গলের প্রথম গোলটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।
যদিও, রেফারিং নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও অভিযোগ করেননি মোহনবাগান কোচ শংকরলাল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “ম্যাচের ভিডিও ক্লিপিংস না দেখে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। রেফারিরাও মানুষ তাদেরও ভুল হয়। তবে, কিংসলের লাল কার্ড হওয়া উচিত ছিল না। কোলাডো প্লে-অ্যাক্টিং করছিল। আমি এর জন্য কিংসলেকে কোনও দোষ দেব না। তবে, শেষ ৩০ মিনিট আমরা দশজনে যে ফুটবলটা খেলেছি তা সবাই দেখেছে।” অর্থাৎ, ঠারেঠোরে তিনি বুঝিয়ে দিলেন ১০ জনে নেমে না গেলে এদিন খেলার ফল অন্য হত পারত। অন্যদিকে, রেফারিং প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেজান্দ্রো বলেন, “এমনিতে রেফারিং নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে, শেষ বেলায় জাস্টিনকে একবার অন্যায়ভাবে অফসাইড দেওয়া হয়েছিল।”
ছবি: অচিন্ত্য রায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.