সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ফুটবল মাঠে ছড়াল সন্ত্রাসের আতঙ্ক। এবারও স্থান প্যারিস। তবে এবার বড়সড় জঙ্গি নাশকতার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেল নেইমারের ক্লাব প্যারিস সাঁ জাঁ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাঁচ সন্দেহভাজনকে।
শনিবারই পার্ক ডে প্রিন্সেস স্টেডিয়ামে ছিল লিগের ম্যাচ। তার কিছুক্ষণ আগেই স্টেডিয়ামের কাছে একটি বিল্ডিং থেকে বোমা উদ্ধার করা হয়। এক তদন্তকারী আধিকারিক জানাচ্ছেন, একটি ডিভাইস, যাতে চারটি গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি পেট্রলে ভেজানো ছিল। সেই সিলিন্ডারগুলি যুক্ত ছিল একটি মোবাইল ফোনের সঙ্গে। যে মোবাইলের বোতাম টিপলেই ঘটত বিস্ফোরণ। কিন্তু তেমনটা হওয়ার আগে পুলিশ তা চিহ্নিত করে নিষ্ক্রিয় করতে সফল হয়। যদিও এর নেপথ্যে রয়েছে স্থানীয় এক বাসিন্দার কৃতিত্ব। তাঁর উপস্থিত বুদ্ধির জেরেই প্রাণ বাঁচল হাজার হাজার সমর্থক থেকে নেইমারের মতো তারকাদের। নিজের বাড়ি থেকে কয়েকজন সন্দেহভাজনকে স্টেডিয়ামের আশপাশে ঘুরতে দেখেন তিনি। দেরি না করে পুলিশে খবর দেন। তারপরই তৎপরতার সঙ্গে হামলার ছক বানচাল করে পুলিশ। বম্ব স্কোয়াড এসে নিষ্ক্রিয় করে বোমাগুলি। এরপরই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যার মধ্যে এক ব্যক্তির ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ আছে বলে জানা গিয়েছে। সেই ব্যক্তিই গোটা বিষয়টি নজর রাখছিল বলে ধারণা পুলিশের। পাঁচজনকে জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে। যদিও এখনও সকলের পরিচয় জানা যায়নি।
লিগ চ্যাম্পিয়ন্সের ম্যাচে বোর্দোর বিরুদ্ধে মাঠে নামার কথা ছিল প্যারিস সাঁ জাঁর। যে ম্যাচ দেখতে শনিবার গ্যালারিতে হাজির ছিলেন প্রায় ৫০ হাজার দর্শক। স্টেডিয়ামে বোমার উপস্থিতির কথা জানা মাত্রই ছড়ায় আতঙ্ক। যদিও ফ্রান্সের বুকে এমন জঙ্গি হামলার ঘটনা নতুন নয়। ২০১৫-র নভেম্বরে ফ্রান্স ও জার্মানির ম্যাচের সময় স্তাদ দ্য ফ্রান্সে ফিদায়েঁ হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। দুই আত্মঘাতী বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন এক দর্শক। তদন্তকারীদের দাবি, বিল্ডিংয়ে বোমা মিললেও জঙ্গিদের স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল না, এমনটা বলা যাচ্ছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.