সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে রাজধানী দিল্লিতে পূর্ণরাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর শেষকৃত্য। আর অন্যদিকে মুম্বইয়ে খানিকটা আড়ালে থেকেই বিদায় নিলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক অজিত ওয়াড়েকর৷
স্বাধীনতা দিবসের রাতেই এসেছিল দুঃসংবাদটা৷ দীর্ঘ রোগভোগে ৭১ বছর বয়সে চলে গেলেন ‘৭১-এর সফল নেতা৷ শুক্রবার দাদারের শিবাজি পার্কে রাষ্ট্রীয় মর্যাদাতেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হল তাঁরও৷ এদিন ওরলিতে নিজের বাসভবনে রাখা হয়েছিল কিংবদন্তি ক্রিকেটারের মরদেহ৷ সকাল থেকেই অনুরাগীরা ভিড় জমিয়েছিলেন তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে৷ শচীন তেণ্ডুলকর, বিনোদ কাম্বলি, সমীর দিঘে, প্রাক্তন হকি অধিনায়ক এম এম সৌম্য এবং মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার প্রাক্তন ও বর্তমান কর্মকর্তারা হাজির হয়েছিলেন ওয়াড়েকরের শেষযাত্রায়৷ ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের তরফে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান সাধারণ সম্পাদক সাবা করিম৷ এছাড়াও ওয়াড়েকরের পরিবারের পাশে দাঁড়ান শিব সেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত৷
এরপর তেরঙ্গায় মুড়ে হুড খোলা শববাহী গাড়িতে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় দাদারের শিবাজি পার্কে৷ জিমখানায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানান প্রাক্তন ক্রিকেটার সন্দীপ পাতিল, নীলেশ কুলকর্ণি-সহ ক্রীড়াদুনিয়ার একাধিক পরিচিত মুখ৷ মুম্বই পুলিশের গান স্যালুটের মধ্যে দিয়েই বিদায় জানানো হয় ওয়াড়েকরকে৷
১৯৬৬ সালে ঘরের মাঠ মুম্বইয়ে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে দেশের জার্সি গায়ে অভিষেক হয়েছিল বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের। কেরিয়ারে ৩৭টি টেস্টে খেলে ২১১৩ রান সংগ্রহ করেন। অধিয়ানক হিসেবে সর্বোচ্চ সাফল্য আসে ১৯৭১ সালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জিতিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের মানচিত্রে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম কারিগর বাইশ গজকে বিদায় জানানোর পরও দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন ক্রিকেটের সঙ্গে। সফল অধিনায়কের পাশাপাশি কোচ এবং নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যানের ভূমিকাও পালন করেছেন। ৯০-এর দশকে কোচ হিসেবে ভারতীয় দলে নিজের অবদান রেখেছিলেন এই মুম্বইকর। বাইশ গজে অসামান্য কৃতিত্বকে সম্মান জানিয়ে অর্জুন এবং পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করা হয় কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে শেষ হল ক্রিকেটের একটি সফল অধ্যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.