ইংল্যান্ড: ২ (জুড বেলিংহ্যাম, হ্যারি কেন)
স্লোভাকিয়া : ১ (ইভান স্ক্রাঞ্জ)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউরো ২০২৪ (Euro Cup 2024) এর রুদ্ধশ্বাস প্রিকোয়ার্টার ফাইনাল। আরেকটু হলে অঘটনের সাক্ষী হচ্ছিল ভরা স্টেডিয়াম। স্লোভাকিয়ার কাছে ১-০ হারতে বসেছিল হ্যারি কেনদের দল। যখন সকলেই ধরে নিয়েছিলেন ইউরোপ সেরা টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিচ্ছে ইংল্যান্ড। তখনই জ্বলে উঠলেন জুড বেলিংহ্যাম। খেলার বয়স তখন ৯০ মিনিট। শূন্যে শরীর ছুড়ে ব্যাকভলিতে বিশ্বমানের গোল করে দলকে লড়াইয়ে ফেরালেন। খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। এর পর ‘বুড়ো হাড়ে’ ভেলকি দেখালেন হ্যারি কেন। অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই বিপক্ষের রক্ষণের ভুলকে কাজে লাগিয়ে স্লোভাকিয়ার কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিলেন। সেকেন্ড পোস্টের কাছে ফাঁকা জায়গা থেকে হেড গোল করলেন ইংল্যান্ডের বহু যুদ্ধের ঘোড়া।
ইংল্যান্ডকে আলোকিত করার ক্ষমতা হারিয়েছেন হ্যারি কেন? ইউরোর প্রিকোয়ার্টারের প্রথম অর্ধে ত্রিশের কোঠার ইংল্যান্ড তারকাকে বড্ড ক্লান্ত লাগছিল। স্লোভাকিয়ার বক্সের বাইরে ক্লান্ত চরণে হেঁটে বেড়ালেন। প্রথম পয়তাল্লিশ মিনিটে কিছুই যেন ঠিক হচ্ছিল না ব্রিটিশদের। বল পজেশনে এগিয়ে থেকেও গোলমুখী আক্রমণে হতাশ করছিল মাইকেল ওয়েন, ওয়েন রুনিদের দেশ। প্রথম পর্বে ইংরেজে গোলকিপারকে স্লোভাকিয়ানদের চার-চারটি শটের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। অপর প্রান্তের গোলকিপারকে পরীক্ষার মুখে ফেলতেই পারলেন না কেন, ফডেনরা। এর পিছনে স্লোভাকিয়ার এগারো জনের মরিয়া লড়াই কারণ। ইংল্যান্ড আক্রমণে উঠলেই আট থেকে দশজন মিলে ডিফেন্স করছিলেন পেকারিক, ভ্যাবরো, দুদারারা। এর মধ্যেই ঝটিতি কাউন্টার অ্যাটাকে ফাটল ধরল ইংল্যান্ড রক্ষণে। ২৫ মিনিটে বড় বক্সে ওয়ান-টু খেলে বুটের ডগার আলতো টোকায় স্লোভাকিয়ার হয়ে গোল করলেন ইভান স্ক্রাঞ্জ। রচিত হল মধ্য ইউরোপের ৫৪ লাখের ছোট্ট দেশের স্বপ্নের পথ, কোয়ার্টার ফাইনালের দিকে। যা ভেঙে গেল বেলিংহ্যামের দুরন্ত গোলে। এটাই ইউরো ২০২৪ এর সেরা গোল?
ইঞ্জুরি টাইমে খেলার স্কোর একই রইল। কিন্ত এক্সট্রা টাইম শুরুতেই ৯১ মিনিটে জ্বলে উঠলেন হ্যারি কেন। স্লোভাকিয়ার ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে হেডে গোল করলেন। ভেঙে না পড়ে চেষ্টা চালালেও আর পেরে উঠল না স্লোভাকিয়ার খেলোয়াড়রা। এর পর মেজাজ হারাতেও দেখা গেল তাঁদের। হলুদ কার্ড দেখলেন। বলা বাহুল্য, দ্বিতীয়ার্ধে অন্য ইংল্যা্ন্ডকে দেখল সমর্থকরা। কারণ একসঙ্গে খেলায় ফিরলেন একাধিক ইংরেজ তারকা। তার মধ্যেও বেশি করে চোখে পড়লেন বেলিংহ্যাম, ফডেন এবং কেন। অন্যদিকে ডিফেন্স লাইনেও বাড়ল তৎপরতা। এর ফলেই সমতা ফেরাতে সক্ষম হন বেলিংহ্যাম। অতিরিক্ত সময়েও আত্মবিশ্বাসী দেখাল সাউথগেটের ছেলেদের। শেষ পর্যন্ত দাপটে জিতেই ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছল ইংল্যান্ড।