জার্মানি – ১ (গোমেস)
উত্তর আয়ারল্যান্ড – ০
মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য: ছোট্ট একটা পরিবর্তন গোটা খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে৷ কেমনভাবে দেখুন! গোয়েৎজের ছোট চেহারা৷ স্ট্রাইকার হিসাবে ওর পক্ষে বড় চেহারার ডিফেন্ডারদের সঙ্গে এঁটে ওঠা বেশিরভাগ সময় মুশকিল হয়ে পড়ে৷ উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই ম্যাচটা জার্মানদের কাছে ভেসে ওঠার লড়াই৷ লো এমন ম্যাচে গোয়েৎজেকে একটু পিছন থেকে খেলালেন৷ জার্মানির আক্রমণের ধরনটাই পাল্টে গেল৷
অস্তিত্ব সংকট হয়ে দাঁড়ালে জার্মানরা ভয়ঙ্কর জলদস্যুর মতো৷ জার্মানির দুই স্টপারকে এদিন বেশিরভাগ সময় দেখা গেল সেন্ট্রাল লাইনের উপর ঘোরাঘুরি করতে৷ বুঝতেই পারছেন, বিপক্ষের স্ট্রাইকারদের কোনও চাপই তাঁদের সামলাতে হয়নি৷ এই ম্যাচে জার্মানরাই কর্তৃত্ব বজায় রাখবে, এটাই কাম্য ছিল৷ দুই ম্যাচ পরে জার্মানির ফুটবলে সেই চিরাচরিত দাপাদাপি ফিরে এল৷ এটাই আপাতত ভাল খবর৷
আর্সেনালের মাঝমাঠে ফুসফুসের মতো কাজ করেন মেসুট ওজিল৷ পরিসংখ্যান বলছে, গোলমুখী আক্রমণের অর্ধেকের বেশি ফাইনাল পাস ওঁর পা থেকেই বেরোয়৷ ওজিল ফিট থাকলে ওয়েঙ্গার ওঁর জায়গায় অন্য কাউকে খেলানোর কথা স্বপ্নেও ভাবেন না৷ আর্সেন ওয়েঙ্গার বহুবার একথা বলেছেন কথাটা৷ প্রথমার্ধে ঠিকঠাক সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে মুলার ও গোমেস অন্তত আরও দু’টো গোল করতে পারতেন৷
গোমেসের গোলটাতেও আসল কৃতিত্ব কিন্তু ওজিলেরই৷ ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে ফাইনাল পাসটা বাড়ালেন তিনিই৷ প্রথমার্ধে জার্মানি যে ফুটবল খেলছিল, তাতে বোঝা যাচ্ছিল যে কেন দু’বছর আগে বিশ্বকাপ জিতেছে৷ দ্বিতীয়ার্ধেও বেশ দাপট নিয়ে খেলল জার্মানি৷ তবে প্রথমার্ধের মতো আক্রমণের সেই ঝাঁঝ ছিল না৷ হয়তো এটাই লো-র স্ট্র্যাটেজি ছিল৷ অলআউট আক্রমণে আর না গিয়ে বরং গোল ধরে রাখতে হবে৷ কিমিচকে বেশ ভাল লাগল৷ ওঁর ক্রস থেকে গোমেস প্রায় গোল করে দিয়েছিলেন৷ লো- নকআউটের আগে সবাইকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সবাইকে দেখে নিলেন৷ গত দু’ম্যাচে জার্মান সমর্থকরা হতাশ হলেও মঙ্গলবার সেসব একেবারে ভুলিয়ে দিলেন ওজিলরা৷ সত্যিই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের মতোই খেলে গেল৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.