কুলদাকান্ত শিল্ড জয়ের পর ইস্টবেঙ্গল দল। ছবি: ইস্টবেঙ্গল
শিলাজিৎ সরকার, রায়গঞ্জ: সাম্প্রতিক সময়ে যুবভারতীতে লাল-হলুদের ম্যাচের সঙ্গে গ্যালারির খাঁ খাঁ করার বিষয়টি যেন সমার্থক হয়ে গিয়েছে। সেখানে শনিবাসরীয় বিকালে রায়গঞ্জের টাউন ক্লাব ময়দানে কমবেশি বারো হাজারের মতো ভিড়টার অধিকাংশই গলা ফাটাল ইস্টবেঙ্গলের হয়ে।
সেই ভিড়েই সামিল ছিলেন স্থানীয় যুবক শুভম রাহা, শুভজিৎ চক্রবর্তীরা। কয়েকশো কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে প্রিয় ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখতে কলকাতায় যান। আক্ষেপ করছিলেন, আইএসএল না হোক, কলকাতা লিগে নিজেদের একটা-দু’টো ম্যাচ তো উত্তরবঙ্গে খেলতেই পারে ইস্টবেঙ্গল। তাই কুলদাকান্ত শিল্ড খেলতে লাল-হলুদ ফুটবলাররা রায়গঞ্জে আসায় বেজায় খুশি তাঁরা।
শুভজিৎ বললেন, “আমরা সবসময় কলকাতা ম্যাচ দেখতে যেতে পারি না। তবে বাড়ির কাছে লাল-হলুদ জার্সির ফুটবলারদের খেলতে দেখে ভালো লাগছে। সবসময় কলকাতা যেতে পারি না। আইএসএলের ম্যাচ খেলার মতো পরিকাঠামো আমাদের এখানে নেই। তবে কলকাতা লিগের কিছু ম্যাচ তো হতেই পারে, যেমন নৈহাটি বা কল্যাণীতে হয়।”
এদিন মাঠের পাশে জড়ো হওয়া হাজার-হাজার সমর্থককে হতাশ করল না লাল-হলুদের রিজার্ভ দলও। শিল্ড ফাইনালে স্থানীয় দল ওরিয়েন্ট আরটিসি-কে ২-০ গোলে হারিয়ে খেতাব জিতলেন কোচ অর্চিষ্মান বিশ্বাসের ছেলেরা।
ম্যাচের শুরুতেই জেসিন টিকে-র গোল বাতিল হল অফসাইডের জন্য। তবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য লাল-হলুদের প্রতীক্ষা দীর্ঘ হতে দেননি মহম্মদ রোশাল। ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রতিপক্ষ গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে চিপ করে গোল করে যান তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অধিনায়ক জেসিন। প্রতিপক্ষ ডিফেন্সের ভুলের সুযোগ ভালোমতেই নিলেন কেরলের এই ফরোয়ার্ড। সেমিফাইনালে চার গোল করার পর সাফল্য পেলেন জেসিন।
এমনিতে রায়গঞ্জের স্থানীয় দল হলেও ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ ওরিয়েন্টের বেশ কিছু ফুটবলারই খেলেছেন কলকাতা লিগে। ফলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লড়তে হয়েছে লাল-হলুদকে। তবে বিপক্ষের পোস্টে দুটি শট লেগে না ফিরে আসলে ইস্টবেঙ্গলের জয়ের ব্যবধান আরও বাড়তেই পারত। তবে ২৩ মিনিটে প্রতিপক্ষ ১০ জন হয়ে যাওয়ায় কিছুটা সুবিধা হয় তন্ময় দাস, মহীতোষ রায়দের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.